Mahfuzur Rahman Manik
পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা স্থায়ীভাবে বন্ধ হোক- ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
সেপ্টেম্বর 7, 2020

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন ও ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ছাড়াও তিনি উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। ষাটের দশকের গোড়ার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ পিএইচডি করেছেন যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (এলএসই) থেকে। তিনি ২০০৯ সালে দারিদ্র্য বিমোচনে একুশে পদক লাভ করেন এবং ২০১০ সালে সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন

সমকাল : আপনি ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকার শিক্ষানীতি সংশোধন, পরিমার্জন ও সংযোজনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। আপনি বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ :সময়ের প্রয়োজনে সবকিছুর পরিবর্তন হতে পারে। শিক্ষানীতির ভূমিকায় আধুনিক মানসম্মত শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। যেটি সময়ের দাবি অনুযায়ী, বাস্তবতার নিরিখে পরিমার্জন করা যেতেই পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের আগে আমরা যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করেছি। আগের সব শিক্ষা কমিশন ও কমিটির প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা ছাড়াও শিক্ষানীতির সঙ্গে সংশ্নিষ্ট সব অংশীজন যথা শিক্ষক, শিক্ষা ব্যবস্থাপক, প্রশাসক, সংশ্নিষ্ট সংগঠনসহ যতদূর সম্ভব সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলা হয় এবং ওই সময়ের বাস্তবতায় অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং দক্ষ মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন করা হয়। এখন যারা শিক্ষা বিষয়ে সরকারে দায়িত্বে আছেন, তারা হয়তো ভাবছেন শিক্ষানীতিটি সংশোধন করা দরকার। তবে মনে রাখা জরুরি, শিক্ষা এমন একটি বিষয়, এ নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই। কারণ সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কার্যকর ব্যবস্থার মাধ্যমে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।
সমকাল : ২০১৮ সালের মধ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হলেও শিক্ষানীতির বেশিরভাগ সুপারিশেরই বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ কী?
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ যে একেবারেই বাস্তবায়ন হয়নি তা নয়। শিক্ষানীতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোর কথা বলা হয়েছে। আমরা দেখেছি, স্কুল-কলেজের রাস্তাঘাট ও খেলার মাঠ পর্যায়ে অনেক ক্ষেত্রে ঘাটতি থাকলেও প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজের ক্ষেত্রে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে প্রয়োজন অনুসারে প্রায় সারাদেশেই। শিক্ষানীতি-২০১০-এ সবার অন্তর্ভুক্তির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। লক্ষণীয়, প্রাথমিকে ভর্তির হার (এনরোলমেন্ট) প্রায় শতভাগে পৌঁছেছে। শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন করার সময় এসএসসি পর্যন্ত ঝরে পড়ার হার প্রায় ৪৮ শতাংশ ছিল। এখন সেটা ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। হ্যাঁ, অনেক কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ, শিক্ষা আইন, স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন ইত্যাদি। কোনো নীতি বা আইন গ্রহণ করা হলে তার কার্যকর ও সময়মতো বাস্তবায়নে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে।

সমকাল : শিক্ষানীতি-২০১০ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক স্তর ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তর হিসেবে বাস্তবায়নের সুপারিশ রয়েছে...।

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : কেবল শিক্ষানীতি-২০১০ নয়, এর আগে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নিয়োগকৃত কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্টেও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ করার সুপারিশ করা হয়েছিল। প্রাথমিক শিক্ষা অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেও যেন একজন শিক্ষার্থী মোটামুটি জীবন পরিচালনা করতে পারে, যদি কোনো কারণে পড়াশোনায় আর অগ্রসর হতে না পারে। এ জন্যই বিশেষ করে পঞ্চম শ্রেণির পর অর্থাৎ ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা শুরু করার কথা বলা হয় ওই শিক্ষানীতিতে। তবে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। তাই তা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার জন্য শিক্ষা আইন প্রয়োজন। সে আইনটি এখনও হয়নি।

সমকাল : শিক্ষানীতি প্রণয়নের এক দশকেও শিক্ষা আইন করতে না পারার বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন?

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : শিক্ষানীতি-২০১০ গৃহীত হয় ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে। ১০ বছরেও শিক্ষা আইন করা যায়নি, তা দুঃখজনক। তবে শিক্ষা আইন বর্তমানে চূড়ান্ত হচ্ছে বলেই শুনেছি। শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়নের পরই শিক্ষা আইনের কাজে হাত দেওয়া হয়। সম্ভবত বছরখানেকের মধ্যে শিক্ষা আইনের একটি খসড়া তৈরি করা যায়। পরে নিয়মমাফিক আইন মন্ত্রণালয়ে যায়, ফিরে আসে। আবারও কাজ হয়, কাজ বন্ধ থাকে। এভাবেই বছরের পর বছর চলে যায়। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়? যদি শিক্ষানীতি-২০১০ পরিমার্জন করতে এখন হাত দেওয়া হয়, সেই কাজে কতদিন লাগবে এবং শিক্ষা-আইন প্রণয়ণই-বা এই সময়ে এগিয়ে চলে কিনা তা দেখার বিষয়।

সমকাল : শিক্ষানীতি-২০১০-এ না থাকলেও পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা হঠাৎ করে কীভাবে যুক্ত হলো?

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : পঞ্চম শ্রেণি শেষে সমাপনী জাতীয় পরীক্ষা আগে ছিল না। এটি এভাবে হওয়া উচিত নয় বলেই আমি মনে করি। আগে পঞ্চম শ্রেণির পর একটি বৃত্তি পরীক্ষা হতো। বৃত্তি পরীক্ষার জন্য কিছু ভালো শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে তাদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হতো। অন্যরা অবহেলিত থাকত। ২০১০ শিক্ষা প্রণয়ন কমিটি এটি বাতিল করে উপজেলা বা জেলাভিত্তিক অভিন্ন প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার কথা বলে যে, পরীক্ষায় সংশ্নিষ্ট সব শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এই পরীক্ষার ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদানের কথা বলা হয়। পরে সেই প্রস্তাবিত পরীক্ষাটি পঞ্চম শ্রেণি শেষে জাতীয় সমাপনী পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাটি জাতীয়ভাবে গ্রহণ বন্ধ করা উচিত বলে আমি মনে করি। এর কারণে ওই প্রাথমিক পর্যায়েই শিক্ষায় বাণিজ্যিকীকরণ বেড়েছে। কোচিং, গাইড নোটের প্রভাব বেড়েছে। সচ্ছল পরিবারগুলো দেখা গেছে, এক শিক্ষার্থীর পেছনে কয়েকজন শিক্ষকও নিয়োগ করছে। দরিদ্র পরিবারগুলো তা করতে পারে না। এটি বৈষম্য সৃষ্টি করছে এবং এর পেছনে এক ধরনের শিক্ষা বাণিজ্য গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য বাণিজ্যিকভাবে শিক্ষাগ্রহণের ব্যবস্থা করতে পারে না। ফলে তারা ভালো ফল করে না এবং আর তেমন এগোতে পারে না- শিক্ষায়, জীবন গঠনে, উপযুক্ত নাগরিকত্বে।

সমকাল : করোনার কারণে এবার পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হচ্ছে না...

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ :আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বলা যায় পরীক্ষার মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে আছে। পঞ্চম শ্রেণি শেষে জাতীয় পরীক্ষা, অষ্টম শ্রেণি শেষে জাতীয় পরীক্ষা, দশম শ্রেণি শেষে জাতীয় পরীক্ষা আবার দ্বাদশ শ্রেণির পর জাতীয় পরীক্ষা। তা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ও অন্যান্য পরীক্ষা তো রয়েছেই। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার বেড়াজালে আবদ্ধ। অথচ উন্নত বিশ্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই মূল্যায়ন করা হয় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- ফিনল্যান্ডে শিক্ষার্থীদের ১৯ বছর বয়সের আগে জাতীয় কোনো পরীক্ষাই নেই। মূল্যায়ন করা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত পড়ার পর তিন বছরব্যাপী মেট্রিকুলেশন পর্যায়। অর্থাৎ ১৯ বছর বয়সে মেট্রিকুলেশন নামে প্রথম একটি পাবলিক পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের দিতে হয়। অথচ সে দেশে শিক্ষা তুলনামূলক বিশ্বমানে শীর্ষে এক, দুই, তিনের মধ্যে থাকে। আমাদের পরীক্ষানির্ভর শিক্ষা হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা না বুঝে মুখস্থবিদ্যায় মনোযোগী হয়। ফলে বাস্তব জীবনে এই শিক্ষা অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপযোগী হচ্ছে না। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়ই শিক্ষার্থীদের ব্যাপক দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়। ভাইভা নিতে গেলেও দেখা যায় তারা অনেকেই মৌলিক বিষয়গুলো জানে না; তত্ত্বগত বিষয়ের বিশ্নেষণে তারা অসহায়। তারা বুঝে পড়েনি, চিন্তা করতে শেখেনি এবং প্রশ্ন করে করে আরও শিখতে সুযোগ পায়নি। মুখস্থ করেই ভালোভাবে পাস করে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও যখন চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে যায়, তাদের অনেকের শিক্ষার নিম্নমানে বিস্মিত হতে হয়। এবার করোনাদুর্যোগ পরিস্থিতিতে পঞ্চম শ্রেণি শেষে সমাপনী পরীক্ষা এবং জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হচ্ছে না। আমি চাই পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা স্থায়ীভাবে বন্ধ হোক।

সমকাল : শিক্ষানীতি-২০১০ পাসের পর একটি বাস্তবায়ন কমিটি ও বেশ কয়েকটি উপ-কমিটি গঠন করা হলেও সেসব কমিটির কাজ এগোয়নি কেন?

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : হ্যাঁ, শিক্ষানীতি-২০১০ গৃহীত হওয়ার পর এর বাস্তবায়ন এগিয়ে নিতে কিছু কমিটি গঠন করা হয়। বেশ কিছু কাজ হলেও এই নীতির সন্তোষজনক বাস্তবায়ন হয়নি। কমিটিগুলোর কাজে দীর্ঘসূত্রতা, ব্যবস্থাপনায় অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও গাফিলতির জন্য অনেকাংশে দায়ী বলে আমার মনে হয়।

সমকাল : অতীতে বিভিন্ন সরকারের শাসনামলে কয়েকটি শিক্ষা কমিশন বা কমিটি হলেও সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। সেগুলোর সঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এর তফাৎ কী?

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাংলাদেশে একমাত্র শিক্ষানীতি। এর আগে গঠিত সব কমিশন ও কমিটি প্রতিবেদন দিলেও সেগুলোকে নীতিতে রূপান্তরিত করা হয়নি। উল্লেখ্য, আইন মন্ত্রিপরিষদে পাস করা হয়। তবে শিক্ষানীতি-২০১০ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। শুরুতেই বলেছি দক্ষ, মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন করা হয়। শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটিতে যারা ছিলেন সবাই নিজ নিজ বিষয়ে উঁচুমানের পারদর্শী। শিক্ষা নিয়ে তারা দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়নের পর দেশের সব মহল একে স্বাগত জানায়। এমনকি বিরোধী দল থেকেও আমরা সে ধরনের বিরোধিতা দেখিনি। বলা চলে, এটি সর্বজন গৃহীত শিক্ষানীতি। এ নীতিতে কেবল দক্ষ জনশক্তি তৈরিতেই জোর দেওয়া হয়নি। কেবল দক্ষতা দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবে না। এর পাশাপাশি মানবিক- সামাজিক মূল্যবোধ এবং নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ গড়ার বিষয়েও বিশেষ জোর দেওয়া জরুরি। মূল্যবোধের সংকট দেশে বিরাজমান। নিজেরটা চাই এই মানসিকতা ব্যাপকভাবে বিরাজমান। এ কারণে দুর্নীতির প্রকোপও বাড়ছে বই কমছে না। আমি মনে করি, শিক্ষানীতি-২০১০ কার্যকর বাস্তবায়ন দীর্ঘ মেয়াদে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধে বলিয়ান সমাজ গড়া সম্ভব হবে। অবশ্যই ওই লক্ষ্যে বাস্তবতার আলোকে নীতিতে কোনো পরিমার্জন করা হলে তাও বাস্তবায়ন করতে হবে।

সমকাল : সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : আপনাকেও ধন্যবাদ। সমকালের জন্য শুভকামনা।

ট্যাগঃ , , ,

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।