জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০: সার সংক্ষেপ করেছেন মাহফুজুর রহমান মানিক
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ শিক্ষামন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় এ মাসের তিন তারিখ (অক্টোবর, ২০১০)। একত্রিশ মে’তে মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুমোদন করা হয়। এ শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনার আগে দেখা দরকার এখানে কি আছে। যে কেউ ঊনাশি পৃষ্ঠার পুরো শিক্ষানীতি না পড়েও যাতে বুঝতে পারে এতে কি আছে। সে জন্যেই এ প্রয়াস। ঘুরে আসা যাক তাহলে-
প্রাক-কথন: শিক্ষানীতির শুরুতেই আছে প্রাক-কথন। কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচশত পয়ষট্টি শব্দের এ কথনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা লাইন তুলে ধরছি।
* ”আওয়ামী লীগ আগামী প্রজন্মকে নৈতিক মূল্যবোধ, জাতীয় ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়নের প্রস্তুতি পূর্বেই গ্রহণ করেছিল।
* বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকছিলেন
* এই শিক্ষানীতির উল্লেখযোগ্য দিক হল এখানে ধর্ম, বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এতে মানুষের স্বভাবজাত অনুভুতিকে যেমন গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, তেমনি পার্থিব জগতে জীবন জীবিকার সুযোগ সৃষ্টিকারী শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে- যা কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচিত করবে। দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসম্পন্ন জ্ঞানলাভ করে বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হব।”
মুখবন্ধ: মুখবন্ধ আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর। এগারশ তিনশব্দ বলার পর মুখবন্ধ শেষ হয়েছ্।ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি কথা এখানে এসেছে।
(১) এটা কোনো দলীয় শিক্ষানীতি নয়- জনগণ তথা জাতির আকাক্সক্ষা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়ে তৈরি করা হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি।
(২) শিক্ষানীতিকোনো অপরিবর্তনীয় বিষয় নয়, এর পরিবর্তন ও উন্নয়নের পথ সব সময়ে উন্মুক্ত থাকবে। কোনো ভুল-ত্রুটি হলে তা সংশোধন করা যাবে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে- ‘ শিক্ষানীতির মূলে প্রতিফলিত হয়েছে জনগণের রায় ও প্রত্যাশা এবং আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, লক্ষ্য ও আদর্শের প্রতিফলন এবং আমাদের সংবিধানের মূল দিকনির্দেশনা। সবরকম বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সকলের জন্য শিক্ষার অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্য শিক্ষানীতির মৌলিক ভিত্তি হিসেবে অনুসরণ করা হয়েছে।’
আটাশটি এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো দেখা যাক-
শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য: সাতশ ঊনষাট শব্দের এ অধ্যায়ে মোট ত্রিশটি উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নির্ধারণ কর হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বলা আছে এভাবে- ‘এই শিক্ষানীতি সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে গণমুখী, সুলভ, সুষম, সর্বজনীন, সুপরিকল্পিত,বিজ্ঞান মনস্ক এবং মানসম্পন্ন শিক্ষাদানে সক্ষমন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ভিত্তি ও রণকৌশল হিসেবে কাজ করবে।’ ত্রিশটি উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে আর যেসব বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া আছে সেগুলো হলো- সংবিধান, দেশের স্বাধানতা সার্বভৌমত্ব, দেশজ আবহ, জাতীয় ইতিহাস ঐতিহ্য, গণতান্ত্রিক মনোভাব, বিশ্বপরিমন্ডলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ ইত্যাদি।
প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা: পুরো শিক্ষানীতির কথা বললে বড় পরিবর্তনটা আসলে এখানেই। আগে প্রাক-প্রাথমিক ছিলোনা এখন প্রথম শ্রেণীর আগে করা যোগ করা হলো এট্ ি। একবছর মেয়াদের। শিক্ষানীতিতে এটাকে দেখানো হয়েছে বিদ্যালয় প্রস্তুতি পর্ব হিশেবে। শিক্ষাদান প্রক্রিয়া শিশুসুলভ হবে তা বলা আছে। শিক্ষার কৌশল হিশেবে এখানে ধর্মকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যেমন বলা আছে- ‘ মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত সকল ধর্মের শিশুদেরকে ধর্মীয়জ্ঞান, অক্ষরজ্ঞান সহ আধুনিক শিক্ষা ও নৈতিকতা শিক্ষাপ্রদানের কর্মসূচি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে গণ্য করা হবে।”
প্রাথমিক শিক্ষাকে পঞ্চম শ্রেনী হতে তিন বছর বাড়িয়ে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত করা হয়েছে। শিক্ষানীতির ভাষায় ‘। দেশের সব মানুষের শিক্ষার আয়োজন এবং জনসংখ্যাকে দক্ষ করে তোলার ভিত্তিমূল প্রাথমিক শিক্ষা’। আরও বলা আছে ‘ প্রাথমিক শিক্ষা হবে সর্বজনীন, বাধ্যতামূলক, অবৈতনিক এবং সকলের জন্য একই মানের’। এ শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। একে কোন এনজিওর হাতে তুলে দেবেনা, বলছে শিক্ষানীতি। ২০ ১১-১২ অর্থ বছর থেকে প্রাথমিক শিক্ষায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চালু করার জন্য নতুন পাঠক্রম, শিক্ষক, অবকাঠেিমার আবশ্যকতা মেটানোর কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় বিভিন্ন ধারার মাঝে সমন্বয় করতে নির্দিষ্ট শ্রেণীর পাঠ্যসূচি অনুযায়ী নির্ধারিত বিষয়সমূহ অর্থাৎ বাংলা, ইংরেজি, নৈতিক শিক্ষা, বাংলাদেশ স্টাডিজ, গণিত, সামাজিক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ধারণাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিচিতি এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বাধ্যতামূলকভাবে পড়তে বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার বয়স ৬+ এতে ২০১৮ সালের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থী আনুপাত হবে ১ : ৩০। বিদ্যালয় পরিবেশ শিশুসুলভ করা, ঝরে পড়া রেধে দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা, ভালো শিক্ষক নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ও বলা আছে। প্রাথমিক স্তরে পরীক্ষার কতা বলা হয়েছে এভাবে ‘ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে ধারাবাহিক মূল্যায়ন এবং তৃতীয় থেকে সকল শ্রেণীতে ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা চালু থাকবে। পঞ্চম শ্রেণী শেষে উপজেলা/পৌরসভা/থানা (বড় বড় শহর) পর্যায়ে সকলের জন্য অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অষ্টম শ্রেণী শেষে আপাতত: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা নামে একটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং এই পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে”। প্রাথমিক শিক্ষার মনোন্নয়নে জনস্পৃক্ততা বাড়ানো। আদিবাসী, প্রতিবন্ধী এবং বঞ্চিত শিশুদের পড়ার সুযোগের কথা বলা আছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা: এবারের শিক্ষা নীতিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ শিক্ষানীতির প্রাথমিকের পর বড় পরিবর্তণটা এখানে। নতুন শিক্ষা কাঠামোয় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর হিসেবে বিবেচিত হবে। এ শিক্ষার পর শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ধারায় যেতে পারবে তেমনি কেউ ইচ্ছে করলে আবার বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভিত্তিতে বা আরো বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে জীবিকার্জনের পথে যেতে পারবে। এখানে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হিসেবে যেসব কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত মেধা ও সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশে সাহায্য করা। উচ্চশিক্ষার ভিত শক্তিশালী করা। কৌশল হিশেবে পাঠ্যসূচীর বিষয়ে বলা হয়েছে- সব ধারাতেই জন-সমতাভিত্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে
যথা- বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ স্টাডিজ, সাধারণ গণিত ও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় অভিনড়বড়ব শিক্ষাμম ও
পাঠ্যসূচি বাধ্যতামূলক থাকবে। মাধ্যমিকের মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়ে বলা হয়েছে- ‘দশম শ্রেণী শেষে জাতীয় ভিত্তিতে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষার নাম হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং এই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হবে। দ্বাদশ শ্রেণীর শেষে অরো একটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, এর নাম হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। উভয় পরীক্ষা হবে সৃজনশীল পদ্ধতিতে এবং পরীক্ষার মূল্যায়ন হবে গ্রেডিং পদ্ধতিতে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হবে।’ ইংরেজী মাধ্যমের ও লেভেল এবং এ লেভেলকে সাধারণ ধারার অন্তর্ভূক্ত করতে শিক্ষানীতি বলেছে- ‘ও’লেভেল উত্তীর্ণকে এস.এস.সি এবং ‘এ’ লেভেল উত্তীর্ণকে এইচ.এস.সি-র সমমান হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
মাদরাসা শিক্ষা: শিক্ষানীতি মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তা রেখে একে সাধারণ ধারার সাথে মিলানোর প্রয়াস হিশেকে দেখেছে। উদ্ধেশ্য ও লক্ষ্যে বলেছে- শিক্ষার্থীর মনে সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালা ও তাঁর রাসূল (সা:)-এর প্রতি অটল বিশ্বাস গড়ে তোলা এবং শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রকৃত মর্মার্থ অনুধাবনে সমর্থ করে তোলা। মাদরাসা শিক্ষাকে সাধারন ধারার সাথে - ইবতেদায়ি আট বছর , দাখিল দুই এবংআলিম দুই বছর করা হবে। সাধারণ ধারায় উচ্চশিক্ষার সাথে সমন¦য় রেখে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পনড়ব শিক্ষক ও অন্যান্য উপকরণ নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে ৪ (চার) বছর মেয়াদি ফাজিল অনার্স এবং এক বছর মেয়াদি কামিল কোর্স চালুর কথা বলা হয়েছে। সিলেবাস হিশেবে এখানে - ইবতেদায়ি পর্যায়ে নির্দিষ্ট শ্রেণীর শিক্ষাμম অনুযায়ী নির্ধারিত বিষয়সমূহ, অর্থাৎ বাংলা, ইংরেজি, গণিত ,নৈতিক শিক্ষা, বাংলাদেশ স্টাডিজ, সামাজিক পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ধারণাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিচিতি, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরন করা হবে। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাক-বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা প্রদান করা হবে। দাখিল পর্যায়ে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত, বাংলাদেশ স্টাডিজ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয় বাধ্যতামূলক থাকবে। মাদরাসা শিক্ষা আলিম পর্যন্ত দেখবে মাদরাসা বোর্ড এরপর ফাজিল কামিল দেখবে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়।
ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা: এখানে ইসলাম ধর্মসহ প্রচলিত চারটি ধর্মের ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় বলা আছে। শিক্ষানীতি এর বাইরে ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের কথা ও বলেছে। নৈতিক শিক্ষার ব্যাপারে বলছে- নৈতিকতার মৌলিক উৎস ধর্ম। তবে সামাজিক ও সংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসমূহ এবং দেশজ আবহও গুরুত্বপূর্ণ উৎস। নৈতিকতা শিক্ষার ক্ষেত্রে এসকল বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করে নৈতিক শিক্ষাদান পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে। তবে কোন শ্রেণী হতে কোন শ্রেণী এ শিক্ষা থাকবে সেব্যাপারে শিক্ষানীতি কিছুই বলেনি।
উচ্চশিক্ষা: শিক্ষানীতি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য দেখেছে- জ্ঞান সঞ্চারণ ও নতুন জ্ঞানের উদ্ভাবন এবং সেই সঙ্গে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলাকে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বমানকে ও প্রাধান্য দেয়ার কথা আছে। শিক্ষানীতি চার বছরের সম্মান ডিগ্রিকে সমাপনী ডিগ্রি হিসেবে এবং উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষকতা ব্যতীত অন্য সকল কর্মক্ষেত্রে যোগদানের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলেছে। ফলে যে সকল কলেজে তিন বছর মেয়দি স্নাতক ডিগ্রি কোর্স চালু আছে পর্যায়μমে সেখানে চার বছরের স্নাতক সম্মান ডিগ্রি কোর্স চালুর কথা বলেছে। মাস্টার্স, এম.ফিল বা পি.এইচ.ডি-কে বিশেষায়িত শিক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং শুধুমাত্র গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষকতা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদেরকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ছাত্রবেতনের বিষয়টিও এনেছে শিক্ষানীতি বলেছে- সরকারি অনুদান ছাড়াও উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যয়নির্বাহের জন্য শিক্ষার্থীর বেতন ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যক্তিগত অনুদান সংগ্রহের চেষ্টা চালাতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ভর্তি ফি ও বেতন খুবই সামান্য। তবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ফেলোশিপের কথাও এসেছে এ নীতিতে- প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদেও গবেষণার উদ্দেশ্যে যথেষ্ট সংখ্যক আকর্ষণীয় মূল্যের গবেষণা অনুদান এবং স¤প্রতি প্রবর্তিত বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ ছাড়াও আরো ফেলোশিপের ব্যবস্থা করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে ডিগ্রি কলেজগুলোতে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উচ্চশিক্ষার শিক্ষকদের গবেষনায় উৎসাহিত করেছে এ নীতি।
Published date: October 2010 by Mahfuzur Rahman Manik
পূর্ণাঙ্গ শিক্ষানীতি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
শিক্ষাকে উন্নত করতে হলে অবশ্যই রাজনৈতিক সদইচ্ছা থাকতে হবে, তা না হলে প্রণীত শিক্ষানীতি-২০১০ পন্ডশ্রমে পরিনত হবে। এর পিছনে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা শুধুই অপচয় বলে গন্য হবে
মনির হোসেন শাহীন, আপনি ঠিকই বলেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।