Mahfuzur Rahman Manik
রাজনৈতিক অবক্ষয়ের কারণে নির্বাচনে প্রাণহানি- বদিউল আলম মজুমদার
নভেম্বর 15, 2021

ড. বদিউল আলম মজুমদার একজন অর্থনীতিবিদ, রাজনীতি বিশ্নেষক, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও উন্নয়নকর্মী। তিনি নাগরিক সংগঠন 'সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক'-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং 'দি হাঙ্গার প্রজেক্ট'-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সত্তরের দশকের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন তিনি। দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৯১ সালে বদিউল আলম মজুমদার দেশে ফিরে এসে ক্ষুধামুক্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয়। তিনি জনবান্ধব আইন ও নীতি প্রণয়ন, শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রেখে চলেছেন। ১৯৪৬ সালে কুমিল্লার লাকসামে তার জন্ম।

সমকাল: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে এবার সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা এত বেশি হওয়ার কারণ কী বলে আপনি মনে করেন?

বদিউল আলম মজুমদার: স্থানীয় সরকারের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রাম পর্যায়ে এমনকি পাড়া-মহল্লার মানুষ বেশি তৎপর থাকে। ইউনিয়ন পরিষদের এবারের নির্বাচনে যে প্রাণহানি ও সহিংসতা দেখা যাচ্ছে, তা অনেককেই হতবাক করেছে। ইতোমধ্যে ইউপি নির্বাচনের মাত্র দুটি ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। এর পরের ধাপগুলোতেও যদি সহিংসতা ও প্রাণহানির এ ধারা চলতে থাকে, তা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। তবে আমি মনে করি, নির্বাচনে এ সহিংসতা মূলত রোগ নয়, বরং কয়েকটি রোগের উপসর্গ মাত্র।

সমকাল: তাহলে রোগগুলো কী?

বদিউল আলম মজুমদার: বর্তমানে রক্তক্ষয়ী নির্বাচনের যে ধারা আমরা দেখছি, তাতে আমার বিবেচনায় রোগ তিনটি। এর মধ্যে প্রথমটি রাজনৈতিক অবক্ষয়। আমাদের রাজনীতি এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জনস্বার্থের পরিবর্তে ব্যক্তিস্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে রাজনৈতিক পদ-পদবি পেলে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা থাকে। ফায়দাভিত্তিক রাজনীতির কারণে অনেকে আজ রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও এখন ফায়দা হাসিলের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা বাড়ছে। রাজনীতির গুণগত মান নিম্নগামী এবং নেতাকর্মীরা যখন সম্পদ বানাতে লিপ্ত, তখন অন্যকে ঘায়েল করতেও তারা দ্বিধা করছেন না। তার চেয়েও বড় বিষয়, তারা অন্যায় করে পার পেয়ে যান। আর নির্বাচনে সহিংসতার দ্বিতীয় কারণ দলভিত্তিক নির্বাচন।

সমকাল: দলভিত্তিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সঙ্গে সহিংসতার কী সম্পর্ক?

বদিউল আলম মজুমদার: দলভিত্তিক নির্বাচনের সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রাণহানির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দলভিত্তিক নির্বাচনের ফলে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন নিতে প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে। কারণ যারাই ক্ষমতাসীন দলের টিকিট পাচ্ছেন; অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারাই নির্বাচিত হচ্ছেন। এ প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। সরকারি দলের প্রতীকবঞ্চিত নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তারাও পেশিশক্তি দেখান। যার অনিবার্য ফলাফল সহিংসতা।

সমকাল: দলীয় প্রতীকের কারণে যোগ্য প্রার্থীরাও কি বঞ্চিত হচ্ছেন না?

বদিউল আলম মজুমদার: দলীয় প্রতীকের কারণে শুধু সহিংসতাই বাড়ছে না; একই সঙ্গে যোগ্য প্রার্থীরও বঞ্চনার ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। এ কারণে অযোগ্য প্রার্থীও দলের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে যায়। এর ফলে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ যেমন সঠিক জনপ্রতিনিধি পাচ্ছে না, তেমনি সৎ ও যোগ্য প্রার্থীরাও ভোটে দাঁড়াতে উৎসাহিত হন না। এমনকি কখনও কখনও অধিকতর সৎ, শিক্ষিত, মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থী দলীয় প্রতীক না পেয়ে নির্বাচন থেকেই সরে দাঁড়ান।

সমকাল: আমরা দেখছি, এখন দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচনের দাবি জোরদার হচ্ছে।

বদিউল আলম মজুমদার: হ্যাঁ, এখন দেখছি আবার দলীয় প্রতীক ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের কথা উঠছে। অথচ বিষয়টি আমরা আগেই বলেছি। শুরু থেকেই আমি এর বিরোধিতা করে আসছি। এখন তার নেতিবাচক প্রভাব মানুষ ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে। বলাবাহুল্য, সরকার ৫ বছর আগে যে উদ্দেশ্য নিয়ে আইন করে ইউপিসহ সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার ব্যবস্থা করেছিল, তা বলা চলে সফল হয়নি। বরং দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের কারণে তৃণমূল পর্যায়ে সংঘাত-সহিংসতা আগের চেয়ে যে বেড়ে গেছে, তা সবাই দেখছে। এখানে নেতাকর্মীদের মধ্যে কোন্দল ও দ্বন্দ্ব বেড়েছে। এ কারণে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারি দলই। এমনকি যারা নিহত-আহত হয়েছেন তাদের মধ্যেও অধিকাংশ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী।

সমকাল: নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কেমন দেখছেন?

বদিউল আলম মজুমদার: নির্বাচনী সহিংসতার যে তিনটি কারণের কথা বলেছি; তৃতীয় রোগটি নির্বাচন কমিশন। বস্তুত নির্বাচন কমিশন তথা ইসি নির্বাচনকে 'নির্বাসনে' নিয়ে গেছে। তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেই নির্বাচনে সহিংসতা বাড়ছে। ভোটের মাঠে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে। অথচ ইসি সেখানে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল বুঝে গেছে- যত অন্যায়ই করুক না কেন, নির্বাচন কমিশন কিছু করতে পারবে না। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা মনে করছেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের পক্ষে। ফলে কেউ কোনো আইন বা রীতির তোয়াক্কা করছে না। তারা যে কোনো মূল্যে জয় পেতে চাইছে এবং সহিংসতায় জড়াতেও দ্বিধা করছে না।

সমকাল: নির্বাচন কমিশন কি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না?

বদিউল আলম মজুমদার: নির্বাচন কমিশন একেবারে কিছুই করছে না, তা নয়। করছে, কিন্তু সেটা রোগী মারা যাওয়ার পর ডাক্তার আসার মতো। অনেক ক্ষেত্রে দায়সারা গোছের পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার কার্যকর কোনো প্রভাব নেই। সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ঘরে ঘরে পাহারা দিয়ে নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকানো সম্ভব নয়। আমরা দেখছি, নির্বাচনী সহিংসতা এখন দাবানলের মতো সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্ন হলো, আগুনটা যখন লাগছে তখন নির্বাচন কমিশন কী করেছে? ইসি আগ থেকেই সেভাবে ব্যবস্থা নেয়নি বলে আজ পরিস্থিতি এ পর্যায়ে গড়িয়েছে।

সমকাল: নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিতে পারত?

বদিউল আলম মজুমদার: নির্বাচন পরিচালনায় ইসি 'রেফারি' হিসেবে কাজ করে। ইসির হাতে সাংবিধানিক সব ক্ষমতা রয়েছে। ইসি চাইলে যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারত। যেমন আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে ইসি। যে প্রার্থীর পক্ষে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে, তার প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে। নির্বাচনের দিন ভোট বাতিল করতে পারে। এমনকি চাইলে ভোটের পর ফলাফলও বাতিল করার এখতিয়ার তাদের আছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহারের কথা আগেই বলেছি। দুঃখজনক হলেও সত্য, ইসি তা না করে উল্টো পক্ষপাতমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। ইসির অদক্ষতা ও অকর্মণ্যতাও এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।

সমকাল: বিএনপি কি তাহলে এ জন্যই এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি?

বদিউল আলম মজুমদার: বিএনপি কেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি- সেটা তাদের বিষয়। তবে এটা স্পষ্ট- নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্টতা, দুর্নীতি এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থতার কারণে মানুষের মাঝে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। যেখানে বিরোধীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিবেশ এবং নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে, সেখানে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে কীভাবে? বিরোধী দল এলেও নির্বাচনী ফল যদি একই হয়, তাতে কেউ ওই নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহী হবে না। নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহও অনেকাংশে কমে গেছে। বস্তুত আমরা দেখছি, নির্বাচন কলুষিত হয়েছে এবং দুঃখজনক হলেও সত্য, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনও পচে গেছে।

সমকাল: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নজিরবিহীন সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানের কথা উঠছে ...।

বদিউল আলম মজুমদার: প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাঁচজন নিহতের পর দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চলাকালেই দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রের ব্যবহার আমরা দেখেছি। অথচ ভোটের আগে অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে বিশেষ কোনো অভিযান চালানো হয়নি। নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশন বা স্থানীয় প্রশাসন- কেউই এ বিষয়ে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে পরের ধাপে প্রাণহানি বিশেষ করে গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা আরও বেড়েছে। ভোটের আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে বৈধ অস্ত্র জমা রাখা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনার কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশন কিছুই করেনি।

সমকাল: নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ভোটের দাবি করেছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

বদিউল আলম মজুমদার: সংবাদমাধ্যমের সুবাদে আমরা দেখি, কেন্দ্রে ভোটার নেই। তারপরও নির্বাচন কমিশন কীভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে নিবাচন অনুষ্ঠানের দাবি করে- সে এক বিস্ময়। এখন ইভিএমের কারণেও জালিয়াতি করা সহজ হয়। আমাদের ইভিএমে ফল নিরীক্ষার সুযোগ নেই বলে ডিজিটাল জালিয়াতি করা সহজ হয়। এ জন্য ইভিএম চালু বিষয়ে প্রয়াত জামিলুর রেজা চৌধুরীও সায় দেননি। তারপরও এটি অবাধে চালু করা হয়েছে। অন্যান্য দেশে যেভাবে ইভিএম পরিচালিত হয়, আমাদের এখানে সেভাবে হচ্ছে না। এখানে নিজেদের মতো করে নির্বাচনী ফলাফল পরিবর্তন করা যায়। অনেক ক্ষেত্রে নির্বাচন সুষ্ঠু না হলেও নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো ভোট কমিশন সিল মেরে বৈধতা দেয় এবং সুষ্ঠু বলে ঘোষণা দেয়।

সমকাল: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবার এখনই বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড হয়েছে।

বদিউল আলম মজুমদার: দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় এবং নির্বাচনী পরিবেশ না থাকায় যখন সবার অংশগ্রহণ হচ্ছে না, তখনই বিনা ভোটে নির্বাচনের বিষয়টি আসছে। সব মিলিয়ে এবারের ইউপি নির্বাচনে তিন ধাপে চেয়ারম্যান পদে ২৫০ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যার মধ্য দিয়ে এবারের নির্বাচন পাঁচ বছর আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২১২ জন চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এতদিন সেটাই ছিল সর্বোচ্চ। অথচ আমরা জানি, নির্বাচন হলো উল্লেখযোগ্য বিকল্প থেকে একজনকে বেছে নেওয়া। বিনা ভোটে নির্বাচনের কারণে তা হচ্ছে না। উপরন্তু এর মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হচ্ছে। প্রভাব কিংবা বাণিজ্যের মাধ্যমে অসৎ প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এভাবে আসলে নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে।

সমকাল: যে সংকট আমরা দেখছি, এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?

বদিউল আলম মজুমদার: আমি মনে করি, সংকট উত্তরণে আমাদের জনকল্যাণের রাজনীতিতে ফিরে যেতে হবে। এখন যে রাজনীতি চলছে, তা অপরাজনীতি। এখানে জনকল্যাণের বিপরীতে ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা দলীয় স্বার্থসিদ্ধিই প্রধান হয়ে উঠেছে। ফলে কেউ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানও সেভাবে ভূমিকা পালন করতে পারছে না। উপরন্তু ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার প্রবণতা বাড়ছে। এ কারণেই আমরা নির্বাচনগুলোতে হানাহানি দেখছি। সহিংস নির্বাচনের মাধ্যমে পেশিশক্তির প্রদর্শনী আমরা দেখছি। এখানে জনকল্যাণে কাজ করবে, এমন নিবেদিত নেতা সেভাবে আসছে না। তাই রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করা জরুরি। আলাপ-আলোচনা, সংলাপ কিংবা মতবিনিময়ের মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছে জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে নিঃস্বার্থ রাজনীতি আজ জরুরি।

সমকাল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

বদিউল আলম মজুমদার: আপনাকেও ধন্যবাদ। সমকালের জন্য শুভ কামনা।

ট্যাগঃ , , , ,

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।