ড. ছিদ্দিকুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হিসেবে ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি একই ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। প্রবীণ এ শিক্ষাবিদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইউনিসেফসহ দেশি-বিদেশি নানা প্রতিষ্ঠানে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৯ সালে দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি এবং ১৯৮২ সালে লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট ডক্টরেট অর্জনকারী ছিদ্দিকুর রহমান কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।
সমকাল: করোনার কারণে দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। এটাই খোলার যথার্থ সময়?
ছিদ্দিকুর রহমান: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা খুব জরুরি ছিল। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। যদিও আরও আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যেত। বিশেষ করে গত বছরের এ সময়ে করোনা সংক্রমণের হার আরও কম ছিল। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও অন্তত ছয় মাস পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যেত। করোনা অতিমারি আমাদের জন্য নতুন বিষয়। করোনার কারণে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল। ওই সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতো। দেড় বছর ধরে শিক্ষার্থীদের অনেকেই অধৈর্য হয়ে পড়েছে। অনেকেই এ দীর্ঘ সময়ে পড়াশোনার বাইরে রয়েছে। দেরিতে হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে- এটাই স্বস্তির।
সমকাল: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে প্রশাসনের তরফ থেকে বিশেষ নির্দেশনা বিষয়ে আপনার মন্তব্য...
ছিদ্দিকুর রহমান: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে শিক্ষা প্রশাসনের ভূমিকা জরুরি। ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। আমি মনে করি, এসব নির্দেশনা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতে বাস্তবায়ন করে, সে জন্য প্রশাসনের কঠোর হওয়া দরকার। একই সঙ্গে প্রয়োজন নিবিড় পর্যবেক্ষণ।
সমকাল: এখনই কি পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা উচিত?
ছিদ্দিকুর রহমান: না। এখনই পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা ঠিক হবে না। আমরা জানি, করোনার কারণে মাঝখানের দীর্ঘ সময় তাদের রুটিন ছিল ভিন্ন। সকালে ঘুম থেকে ওঠা, স্কুলে যাওয়া, বিকেলে খেলাধুলা করা, রাতে পড়তে বসা- এ রকম নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে ছিল তারা। অনেকে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ছিল। এখন হঠাৎ প্রতিদিন পাঁচ-ছয় ঘণ্টা করে ক্লাস হলে তারা পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবে না। পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রমে তাদের মনোযোগী হতে সময় লাগবে।
সমকাল: তাহলে কীভাবে শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কার্যক্রমে অভ্যস্ত হবে?
ছিদ্দিকুর রহমান: আমি মনে করি, এ কাজটি করতে হবে ধীরে ধীরে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে শুরুতে আনন্দের মাধ্যমে শেখাতে হবে। স্কুলে তিন ঘণ্টা থাকলে অন্তত অর্ধেক সময় খেলাধুলা, সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে ব্যয় করা উচিত। অর্থাৎ আনন্দঘন পরিবেশের মাধ্যমে তাদের নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রমে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে এবং আস্তে আস্তে পাঠদানের সময় বাড়াতে হবে।
সমকাল: স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
ছিদ্দিকুর রহমান: করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং প্রয়োজনীয় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে মনোযোগী হওয়া চাই। স্বাস্থ্যবিধির অংশ হিসেবেই আমি মনে করি, শ্রেণি কার্যক্রম ব্যবস্থাপনাও সেভাবে হওয়া উচিত। দু'ভাগে জোড়-বিজোড় করে তিন দিন তিন দিন করে ক্লাস হতে পারে। যেমন কোনো শ্রেণিতে ৬০ জন শিক্ষার্থী হলে জোড় রোলধারী ৩০ জন ক্লাস করবে শনি, সোম, বুধবার। আবার বিজোড় ক্রমিকধারী শিক্ষার্থীরা রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতিবার এভাবে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে। আবার এমনও হতে পারে, সকাল-বিকেল দুই শিফট করে দুই ভাগে শ্রেণি কার্যক্রম চালানো যেতে পারে।
সমকাল: শিক্ষা প্রশাসন অধিকাংশ শ্রেণির সপ্তাহে এক দিন ক্লাসের নির্দেশনা দিয়েছে।
ছিদ্দিকুর রহমান: এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবে। অন্য শ্রেণিগুলোর শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে এক দিন ক্লাসের সিদ্ধান্তে আমি দ্বিমত পোষণ করি। দীর্ঘ দিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। তাই শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রমে অভ্যস্ত করতে হবে। সপ্তাহে এক দিন ক্লাস করলে সে ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যাবে না।
সমকাল: এক দিন ক্লাস হলে কী সমস্যা?
ছিদ্দিকুর রহমান: সপ্তাহে এক দিন ক্লাস হলে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময়ের প্রভাব সহজে কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আমি মনে করি না। পদার্থবিজ্ঞানে আমরা স্থিতি জড়তা ও গতি জড়তার বিষয় পড়েছি। শিক্ষার্থীরা এখন বাড়িতে রয়েছে মানে স্থিতি জড়তার মধ্যে রয়েছে। তারা এক দিন ক্লাস করলে সেই জড়তা কীভাবে কাটবে? তাদের মধ্যে গতি আনতে অন্তত তিন দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনার ব্যবস্থা করা উচিত। তারা অন্তত স্কুলে আসুক। পড়াশোনার কথা আগেই বলেছি, আনন্দদায়ক পরিবেশে দুই ঘণ্টা ক্লাস হলেই যথেষ্ট।
সমকাল: নির্দেশনায় শ্রেণি কার্যক্রমের পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টের কথাও বলা হয়েছে।
ছিদ্দিকুর রহমান: অ্যাসাইনমেন্টের ধারণা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু যেভাবে এর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে এবং অনেক শিক্ষার্থী যেভাবে বই দেখে হুবহু কপি করে জমা দিচ্ছে, তাতে এর সুফল মিলবে না। অ্যাসাইনমেন্ট এমনভাবে দেওয়া উচিত, যাতে শিক্ষার্থী মাথা খাটিয়ে বাস্তবতার আলোকে লিখে জমা দিতে পারে। ধরা যাক, অ্যাসাইনমেন্টের একটি বিষয় পানিদূষণ। শিক্ষার্থী পানিদূষণের কারণগুলো তার এলাকার বাস্তবতায় খুঁজে বের করবে। এখানে গ্রাম আর শহরের বাস্তবতা ভিন্ন। আবার সমাধানও শিক্ষার্থী সমস্যার আলোকেই করবে।
সমকাল: শ্রেণি কার্যক্রম চালু হওয়ার পর শিক্ষার মূল চ্যালেঞ্জ কী?
ছিদ্দিকুর রহমান: আমাদের শিক্ষার মূল চ্যালেঞ্জ হলো লার্নিং গ্যাপ বা শিখনশূন্যতা পূরণ করা। মনে রাখতে হবে, শিক্ষার্থীদের এই গ্যাপ কিন্তু অনেক বেশি। শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়ার কারণে এ গ্যাপ বেড়েছে। গত বছর মার্চের মাঝামাঝি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার আগে ক্লাস হয়েছে প্রায় তিন মাস। বন্ধ থাকার মধ্যেই বছর শেষে সিলেবাস শেষ না করেই শিক্ষার্থীদের অটোপাস পেয়ে গেল। অনেকে হয়তো অনলাইনে ক্লাস করেছে। কিন্তু গ্রামসহ অধিকাংশ শিক্ষার্থী নানা কারণে অনলাইন ক্লাস কিংবা টিভির দূরশিক্ষণ কার্যক্রমের বাইরে রয়ে যায়।
সমকাল: অটোপাস যথোচিত হয়নি কেন?
ছিদ্দিকুর রহমান: অটোপাসের ফলে আমরা দেখছি, প্রায় দুই বছরের গ্যাপ তৈরি হয়েছে। গত বছর যে শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছিল সে অটোপাসে উঠে গেল সপ্তম শ্রেণিতে। এ বছর এতদিন ক্লাস হয়নি। এখন বছরের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে ক্লাস হলে এবং এর ওপর ভিত্তি করে দু'মাস পর পরীক্ষা দিয়ে অষ্টম শ্রেণিতে উঠে গেলে তার মাঝে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সিলেবাসের কী হবে? যেমন- ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি 'টেন্স' বা কাল পড়ানো হয়। এখন সে যদি তা না পড়েই সপ্তম পার হয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ওঠে, ওই শিক্ষার্থী 'ন্যারেশন' করবে কীভাবে! টেন্স না বুঝলে তো কেউ ন্যারেশন করতে পারবে না। এগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা সংযুক্ত। এ রকম প্রতিটি বিষয়ই, যে শ্রেণিতে যা রয়েছে, তা শেষ না করলে পরবর্তী শ্রেণিতে শিক্ষার্থী হয় না বুঝে মুখস্থ করবে, না হয় ঝরে পড়তে পারে।
সমকাল: তাহলে বিকল্প কী হতে পারত?
ছিদ্দিকুর রহমান: সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করে কয়েক মাসের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যেত। প্রয়োজনে শিক্ষাবর্ষ বাড়িয়ে তা সম্পন্ন করা যেত। তাতে অল্প সময়ের মধ্যে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হতো। আরেকটি বিকল্প হতে পারত কাউকে অটোপাস না দেওয়া। মানে এক বছর দেশের সব শিক্ষার্থী পিছিয়ে যেত। ক্ষতি হলে সবারই হতো, তাতে সমস্যা ছিল না। কারণ লার্নিং গ্যাপের বিষয়টি বড় ক্ষতির কারণ। এ কারণে শুধু শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতেই সমস্যা হবে না, বরং দীর্ঘ মেয়াদেও একটি বড় সমস্যা থেকে যাবে। এমনকি এ কারণে শিক্ষকও ভুগতে পারেন। শিক্ষার্থীর পূর্বজ্ঞান না থাকলে শিক্ষক সামনে অগ্রসর হতে পারবেন না।
সমকাল: লার্নিং গ্যাপ কমাতে হলে করণীয় কী?
ছিদ্দিকুর রহমান: লার্নিং গ্যাপ কমাতে বহুবিধ পদক্ষেপের বিকল্প নেই। শুরুতেই এখন দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদের। শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে লেসন-প্ল্যানসহ যাবেন। শিক্ষক সংশ্নিষ্ট বিষয়ে পাঠ দেওয়ার আগে যাচাই করে দেখবেন, শিক্ষার্থীর আগের জ্ঞান আছে কিনা। যেমন ন্যারেশন শেখানোর আগে মৌখিকভাবে টেন্স, নাম্বার, পারসন ইত্যাদির জ্ঞান যাচাই করবেন। অধিকাংশ শিক্ষার্থী তা না পারলে তাদের পূর্বজ্ঞান দিয়েই পরবর্তী পাঠ কার্যক্রমে যেতে হবে। এ শিক্ষাবর্ষে দুই মাস ক্লাস নিয়েই পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা না করে অন্তত ছয় মাস পর্যন্ত শিক্ষাবর্ষ বাড়িয়ে কয়েক বছরের পরিকল্পনা নিয়ে শিখনশূন্যতা কমাতে উদ্যোগ নিতে হবে।
সমকাল: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ঝরে পড়ার বিষয়টি আলোচনায় আসছে...
ছিদ্দিকুর রহমান: অনেকেই আশঙ্কা করছেন, করোনা-পরবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ঝরে পড়া ব্যাপকভাবে দেখা যাবে। আমিও মনে করি, অনেক শিক্ষার্থীই ঝরে পড়বে। কিন্তু কথা হলো, কতটা তথ্য আমাদের রয়েছে? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে যদি যথাযথ তথ্য থাকে, তার কতজন শিক্ষার্থী রয়েছে, প্রতিষ্ঠান খোলার পর কতজন আসেনি; সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। এখানেও শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সমকাল: শিক্ষকরা কীভাবে ঝরে পড়াদের বিদ্যালয়ে ফেরাবেন?
ছিদ্দিকুর রহমান: আমরা দেখেছি, বিশেষ করে অসচ্ছল পরিবারের অনেক শিক্ষার্থীই স্কুল বন্ধ থাকায় অন্য কাজে লেগে গেছে। শিক্ষক প্রথমে তালিকা করবেন, কারা শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিত রয়েছে। এর পর তাদের ঠিকানা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বোঝাবেন। তাতেও কাজ না হলে, এলাকার জনপ্রতিনিধি কিংবা গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে পারেন।
সমকাল: সরকার ১২ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করার কথা বলছে ...
ছিদ্দিকুর রহমান: করোনা সুরক্ষাকবচ হিসেবে টিকা দেওয়া উচিত। তবে আগে বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষার্থী সবার টিকা দিতে হবে। টিকা নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষকসহ শিক্ষার সঙ্গে জড়িত সবার। এর পর শিশুর সুরক্ষায় যে টিকা কার্যকর, ১২ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
সমকাল: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সংক্রমণ বেড়ে গেলে করণীয় কী?
ছিদ্দিকুর রহমান: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সংক্রমণ বেড়ে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে বটে, তবে পরিস্থিতিও দেখতে হবে। যদি নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় সংক্রমণ বাড়ে, তখন ওই এলাকার প্রতিষ্ঠানই বন্ধের জন্য বিবেচনা করা উচিত হবে। আর সংক্রমণ যদি অধিকাংশ জেলায় ছড়িয়ে পড়ে, তখন পুরো দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সংক্রমণের অবস্থা অনুযায়ী বন্ধের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তও এলাকাভিত্তিক হতে পারে।
সমকাল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ছিদ্দিকুর রহমান: আপনাকেও ধন্যবাদ। সমকালের জন্য শুভকামনা।