দেশের প্রতি মানুষের অনুরাগ যেমন সহজাত, তেমনি পতাকার প্রতিও। লাল-সবুজ খচিত আমাদের পতাকা তো দেশকেই প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্বব্যাপী যেখানেই বাংলাদেশি থাকুক তার কাছে এই পতাকার একটা অর্থ আছে। দেশকে বোঝানোর ১০ :৬ কিংবা ৫ :৩ ফুটের পতাকাই যথেষ্ট। সবুজের বাংলাদেশ আর রক্তে রঞ্জিত শহীদের যে চিহ্ন পতাকায় রয়েছে তার যে অর্থ সবাই বোঝেন। তাই বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এলেই আমরা চারদিকে দেখি পতাকা। রাস্তায় পতাকা নিয়ে বেড়াচ্ছে হকার; ছেলেমেয়েদের হাতে শোভা পাচ্ছে; যানবাহনেও অনেকে লাগাচ্ছেন পতাকা; অনেকে আবার হাতে বা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পতাকার স্কেচ আঁকেন, দেখিয়ে বেড়ান। এর মধ্যে এক ধরনের প্রশান্তি খোঁজে মানুষ। পতাকা বিক্রেতার অনেক সময় কম বেচাবিক্রি হলেও অভিযোগ থাকে না। সাংবাদিকদের বলেন, 'আয় কম, তবুও পতাকা বিক্রি করে শান্তি পাই।'
অনেকে আবার ডিসেম্বরে কেবল পতাকা বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চলে আসেন রাজধানীতে। কেবল তো পতাকাই নয়। পতাকার আদলে বানানো টুপি, মাথায় পরার ফিতা ইত্যাদি নানা জিনিস। এখন ফেসবুকেও দেখা যাচ্ছে, অনেকে প্রোফাইল পিকচার করছেন জাতীয় পতাকার জলছাপ দিয়ে। তাছাড়া পতাকার আদলে পোশাকও বানাচ্ছেন অনেকে; শাড়ি, পাঞ্জাবি, কামিজ, টি-শার্ট ইত্যাদিতে শোভা পায় পতাকা।
মানুষ পতাকাকে কতটা ভালোবাসে তা-ই এসবের প্রমাণ। পতাকার প্রতি ভালোবাসা-শ্রদ্ধা-সম্মান আসলে দেশেরই সম্মান। দেশের প্রতি এ ভালোবাসা থেকেই মানুষ দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ তারই প্রমাণ। শহীদরা দেশের জন্য প্রাণপণ লড়াই করে গেছেন। একটি স্বাধীন দেশ আমরা পেয়েছি। এর মাধ্যমে বিশ্ব মানচিত্রে আমাদের ঠাঁই হয়েছে। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি, ভূখণ্ড পেয়েছি, আলাদা মানচিত্র পেয়েছি। আর পেয়েছি এই প্রাণের পতাকা। আমাদের মহান সংগ্রামের এক জীবন্ত সাক্ষী যেন এই পতাকা।
পতাকা ব্যবহারে তাই সবাই সাবধান থাকেন, যাতে এর কোনো অবমাননা না হয়। এই পতাকা উড্ডীন রাখার স্বপ্ন মানে দেশের জন্য আমাদের স্বপ্ন। সুখী, সমৃদ্ধশালী, বৈষম্যহীন একটি দেশ আমরা চাই। যেখানে হানাহানি, কাটাকাটি নেই। সবাই শান্তিতে বাস করবে। এ রকম দেশ গড়ার জন্য কেবল জাতীয় পতাকাকে ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়। বরং প্রত্যেকে নিজ জায়গা থেকে দেশের কাজ করা প্রয়োজন। অবশ্য দেশ আলাদাভাবে কারও কাছে কিছুই চায় না। ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকে ভালো কাজ করা মানেই দেশের জন্য করা। সবাই ভালো মানুষ হলে, স্বাবলম্বী হলে, পরিশ্রম করলে দেশও উন্নত হবে। মানুষ হিসেবে আরেকজনের অধিকার রক্ষা, দেশবিরোধী কাজ না করা, দেশের মূল্যবোধ পরিপন্থী কিছু না করা ইত্যাদি ভালো বিষয় আমরা সবাই জানি। সেসব মানা দেশেরই উপকার করা।
পতাকার দাবিও হয়তো এটাই। যদিও পতাকা কথা বলতে পারে না। তারপরও সবাইকে বুঝে নিতে হবে। যে শহীদরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। যাদের লাল রক্ত পতাকায় স্থান পেয়েছে সে শহীদদের সম্মান দেওয়ার এটাই সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।
আমাদের পতাকা যেমন প্রাণে জাগ্রত আছে, তেমনি প্রাণে থাকুক দেশ। কথায় ও কাজে সবাই সে প্রমাণ যেন দেওয়ার চেষ্টা করি।
পতাকা ব্যবহারে তাই সবাই সাবধান থাকেন, যাতে এর কোনো অবমাননা না হয়। এই পতাকা উড্ডীন রাখার স্বপ্ন মানে দেশের জন্য আমাদের স্বপ্ন। সুখী, সমৃদ্ধশালী, বৈষম্যহীন একটি দেশ আমরা চাই। যেখানে হানাহানি, কাটাকাটি নেই। সবাই শান্তিতে বাস করবে। এ রকম দেশ গড়ার জন্য কেবল জাতীয় পতাকাকে ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়। বরং প্রত্যেকে নিজ জায়গা থেকে দেশের কাজ করা প্রয়োজন। অবশ্য দেশ আলাদাভাবে কারও কাছে কিছুই চায় না। ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকে ভালো কাজ করা মানেই দেশের জন্য করা। সবাই ভালো মানুষ হলে, স্বাবলম্বী হলে, পরিশ্রম করলে দেশও উন্নত হবে। মানুষ হিসেবে আরেকজনের অধিকার রক্ষা, দেশবিরোধী কাজ না করা, দেশের মূল্যবোধ পরিপন্থী কিছু না করা ইত্যাদি ভালো বিষয় আমরা সবাই জানি। সেসব মানা দেশেরই উপকার করা।
পতাকার দাবিও হয়তো এটাই। যদিও পতাকা কথা বলতে পারে না। তারপরও সবাইকে বুঝে নিতে হবে। যে শহীদরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। যাদের লাল রক্ত পতাকায় স্থান পেয়েছে সে শহীদদের সম্মান দেওয়ার এটাই সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।
আমাদের পতাকা যেমন প্রাণে জাগ্রত আছে, তেমনি প্রাণে থাকুক দেশ। কথায় ও কাজে সবাই সে প্রমাণ যেন দেওয়ার চেষ্টা করি।
- সমকালে প্রকাশিত, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫
- ই-সমকাল থেকে দেখুন
- ছবি: অনলাইন