মূল: ড. গ্রেগ মিলস
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনকারী বাংলাদেশ নানা সমস্যা মোকাবেলা করে আসছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সর্বব্যাপী দুর্নীতি, দুর্বল অবকাঠামো ব্যবস্থাসহ বিদ্যুৎ ও পরিবহনে অস্থিরতা, ভোঁতা ও অসহায়ক আমলাতন্ত্র এবং কখনও কখনও উদ্যমহীন অর্থনৈতিক সংস্কার যার অন্যতম। এরই মধ্যে আমরা দেখলাম ২০১৬ সালে দেশটির রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে জামা'আতুল মুজাহিদীন নামের একটি সংগঠনের ৫ দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ইতালি ও জাপানিসহ ২০ জন জিম্মিকে হত্যা করে।
যা হোক, ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে ৬৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ গ্রামে বাস করে। ধান সেখানে প্রধান ফসল। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্য দিয়েই তাদের বাস।
এত সব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ২০ বছরে বেশ উন্নতি লাভ করেছে। দেশটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি এখন ৬ শতাংশ, দারিদ্র্যের হারও কমছে সেখানে। গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৭২ বছর হওয়া বাংলাদেশের পুষ্টিমান উন্নয়ন, মানুষের উচ্চ আয় ও সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিরই প্রমাণ।
বাংলাদেশ যেখানে দ্রুত উন্নতি করছে, সেখানে দেশটিকে অনুসরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে আফ্রিকার দেশগুলো। দেশটির কৃষি ব্যবস্থা উন্নত। বাংলাদেশের রফতানির ৮০ ভাগ আসে তৈরি পোশাক থেকে। এ খাতে ২০১৬ সালে আয় হয় ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান। ২০১৫ সালে দেশটি নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং ২০২১ সালে দেশটির ৫০তম বর্ষে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তখন পোশাক খাতে রফতানির লক্ষ্য হবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তবে সেখানকার রাজধানী ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম আর বায়ুদূষণ বড় সমস্যা। আর গার্মেন্ট সেক্টরেও অবশ্য কিছু সমস্যা রয়েছে। সেখানকার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে প্রায়ই আন্দোলন দেখা যায়। এ ছাড়াও পোশাক কারখানায় দুর্ঘটনার ঘটনাও নেহাত কম নয়। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যাতে ১১৩০ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়। আহত হয় আড়াই হাজারের অধিক। এতদসত্ত্বেও শ্রমিক কাজ করছে। তবে তাদের নূ্যনতম আয়ের চাহিদা পূরণ প্রয়োজন। দুর্ঘটনা কমাতে পদক্ষেপ প্রয়োজন। তা না হলে পোশাক খাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কমবে। বিদেশি ক্রেতারা নিরুৎসাহিত হবেন। শ্রমিক ব্যাপারটি মালিকরা দেখবেন, এটাই স্বাভাবিক।
আফ্রিকার মতো বাংলাদেশও তরুণ প্রজন্মের চাপে রয়েছে। সব মিলিয়ে জনসংখ্যার চাপও কম নয়; বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় এক হাজার মানুষ বাস করে, যা আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের জনসংখ্যার প্রায় ২০ গুণ। তবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সেখানে কাজ চলছে। শিক্ষা ও সরকারের কর্মসূচির মাধ্যমে তা সফলতার মুখ দেখছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২ শতাংশে নেমেছে, একই সঙ্গে জনশক্তির বাজার ৪ শতাংশ হারে বাড়ছে। যদিও আফ্রিকার অধিকাংশ দেশের এসব চিত্র হতাশাজনক, যেখানে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে।
ট্যাক্সে ছাড়, বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা গঠনসহ নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণের বাজারও বলা চলে। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণও প্রদান করেছেন। তারও আগে স্বাধীনতার পর থেকে ব্র্যাক সে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এক লাখ ২৫ হাজার জনশক্তি নিয়ে ব্র্যাক এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও। ব্র্যাকের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমও প্রশংসনীয়।
তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকাই প্রধান। এর বাইরে প্রায় ২৬ হাজার স্থানীয় এনজিও পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে যেতে তার প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগ ও অধিক উৎপাদন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
মানব পুুঁজির দিক থেকেও বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন দেখার মতো। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অন্তর্ভুক্তি সেখানকার বিশেষ দিক, যেখানে তাদের অংশগ্রহণ ৩৬ শতাংশ। তবে পোশাক খাতে বাংলাদেশ আরও কতটা নেতৃত্ব দেবে তা নির্ভর করবে তাদের উন্নত অবকাঠামো ও বিনিয়োগের সুযোগ অবারিত করার মাধ্যমে। একই সঙ্গে অন্য ক্ষেত্র যেমন জাহাজ শিল্প, প্লাস্টিক ও জুতা, ওষুধ ও প্রযুক্তি খাতেও দেশটি নজর দিতে পারে।
অবশ্য দুর্নীতি বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যাংকিং খাতের রাজনীতি ও দুর্নীতিকরণ রোধ জরুরি। আরও জরুরি ব্যবসার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দূরকরণ। বিশ্বব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯০-এর মধ্যে ১৭৬ আর ব্যবসার চুক্তির সূচকে অবস্থান ১৯০-এর মধ্যে ১৮৯। বাংলাদেশের কোর্টে এখনও ৩০ লাখ মামলা রয়েছে। সেখানে রয়েছে ভয় দেখানোর বিরুদ্ধে আইনি মামলাও।
আফ্রিকার অনেক কিছুরই ঘাটতি রয়েছে। নিজেদের উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আফ্রিকার মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিক থেকে যদি আপনি নিজেকে তুলে ধরতে চান, সেখানে আপনাকে কিছু কাজ করতেই হবে।
কৃষি খাত আকর্ষণীয়। গত এক দশকে গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৩.৫ শতাংশ; অথচ বাংলাদেশ চালের দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখানে বাংলাদেশ এগিয়ে ভারত থেকেও। বাংলাদেশ আরও ২০ শতাংশ উৎপাদন বাড়াতে পারলে পরবর্তী ধাপ যেমন ভিয়েতনাম, চীন অথবা থাইল্যান্ডের সমপর্যায়ে পেঁৗছবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কি সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ হতে পারবে? এখানে আফ্রিকার অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। ৪৯টি সাব-সাহারান আফ্রিকা দেশের মধ্যে ৩৯টিই নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করতে অক্ষম।
সাম্প্রতিক অবস্থা পর্যালোচনায় এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ওপরের দিকে। এখন সমস্যাগুলো নিয়ে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পালা। অবকাঠামো, দুর্নীতি, সুশাসন প্রভৃতি অর্থনীতির বাধা। বাংলাদেশ এগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যখন পারছে, তখন আফ্রিকা পারবে না কেন?
যা হোক, ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে ৬৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ গ্রামে বাস করে। ধান সেখানে প্রধান ফসল। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্য দিয়েই তাদের বাস।
এত সব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ২০ বছরে বেশ উন্নতি লাভ করেছে। দেশটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি এখন ৬ শতাংশ, দারিদ্র্যের হারও কমছে সেখানে। গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৭২ বছর হওয়া বাংলাদেশের পুষ্টিমান উন্নয়ন, মানুষের উচ্চ আয় ও সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিরই প্রমাণ।
বাংলাদেশ যেখানে দ্রুত উন্নতি করছে, সেখানে দেশটিকে অনুসরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে আফ্রিকার দেশগুলো। দেশটির কৃষি ব্যবস্থা উন্নত। বাংলাদেশের রফতানির ৮০ ভাগ আসে তৈরি পোশাক থেকে। এ খাতে ২০১৬ সালে আয় হয় ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান। ২০১৫ সালে দেশটি নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং ২০২১ সালে দেশটির ৫০তম বর্ষে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তখন পোশাক খাতে রফতানির লক্ষ্য হবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তবে সেখানকার রাজধানী ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম আর বায়ুদূষণ বড় সমস্যা। আর গার্মেন্ট সেক্টরেও অবশ্য কিছু সমস্যা রয়েছে। সেখানকার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে প্রায়ই আন্দোলন দেখা যায়। এ ছাড়াও পোশাক কারখানায় দুর্ঘটনার ঘটনাও নেহাত কম নয়। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যাতে ১১৩০ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়। আহত হয় আড়াই হাজারের অধিক। এতদসত্ত্বেও শ্রমিক কাজ করছে। তবে তাদের নূ্যনতম আয়ের চাহিদা পূরণ প্রয়োজন। দুর্ঘটনা কমাতে পদক্ষেপ প্রয়োজন। তা না হলে পোশাক খাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কমবে। বিদেশি ক্রেতারা নিরুৎসাহিত হবেন। শ্রমিক ব্যাপারটি মালিকরা দেখবেন, এটাই স্বাভাবিক।
আফ্রিকার মতো বাংলাদেশও তরুণ প্রজন্মের চাপে রয়েছে। সব মিলিয়ে জনসংখ্যার চাপও কম নয়; বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় এক হাজার মানুষ বাস করে, যা আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের জনসংখ্যার প্রায় ২০ গুণ। তবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সেখানে কাজ চলছে। শিক্ষা ও সরকারের কর্মসূচির মাধ্যমে তা সফলতার মুখ দেখছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২ শতাংশে নেমেছে, একই সঙ্গে জনশক্তির বাজার ৪ শতাংশ হারে বাড়ছে। যদিও আফ্রিকার অধিকাংশ দেশের এসব চিত্র হতাশাজনক, যেখানে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে।
ট্যাক্সে ছাড়, বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা গঠনসহ নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণের বাজারও বলা চলে। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণও প্রদান করেছেন। তারও আগে স্বাধীনতার পর থেকে ব্র্যাক সে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এক লাখ ২৫ হাজার জনশক্তি নিয়ে ব্র্যাক এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও। ব্র্যাকের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমও প্রশংসনীয়।
তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকাই প্রধান। এর বাইরে প্রায় ২৬ হাজার স্থানীয় এনজিও পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে যেতে তার প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগ ও অধিক উৎপাদন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
মানব পুুঁজির দিক থেকেও বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন দেখার মতো। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অন্তর্ভুক্তি সেখানকার বিশেষ দিক, যেখানে তাদের অংশগ্রহণ ৩৬ শতাংশ। তবে পোশাক খাতে বাংলাদেশ আরও কতটা নেতৃত্ব দেবে তা নির্ভর করবে তাদের উন্নত অবকাঠামো ও বিনিয়োগের সুযোগ অবারিত করার মাধ্যমে। একই সঙ্গে অন্য ক্ষেত্র যেমন জাহাজ শিল্প, প্লাস্টিক ও জুতা, ওষুধ ও প্রযুক্তি খাতেও দেশটি নজর দিতে পারে।
অবশ্য দুর্নীতি বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যাংকিং খাতের রাজনীতি ও দুর্নীতিকরণ রোধ জরুরি। আরও জরুরি ব্যবসার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দূরকরণ। বিশ্বব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯০-এর মধ্যে ১৭৬ আর ব্যবসার চুক্তির সূচকে অবস্থান ১৯০-এর মধ্যে ১৮৯। বাংলাদেশের কোর্টে এখনও ৩০ লাখ মামলা রয়েছে। সেখানে রয়েছে ভয় দেখানোর বিরুদ্ধে আইনি মামলাও।
আফ্রিকার অনেক কিছুরই ঘাটতি রয়েছে। নিজেদের উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আফ্রিকার মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিক থেকে যদি আপনি নিজেকে তুলে ধরতে চান, সেখানে আপনাকে কিছু কাজ করতেই হবে।
কৃষি খাত আকর্ষণীয়। গত এক দশকে গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৩.৫ শতাংশ; অথচ বাংলাদেশ চালের দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখানে বাংলাদেশ এগিয়ে ভারত থেকেও। বাংলাদেশ আরও ২০ শতাংশ উৎপাদন বাড়াতে পারলে পরবর্তী ধাপ যেমন ভিয়েতনাম, চীন অথবা থাইল্যান্ডের সমপর্যায়ে পেঁৗছবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কি সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ হতে পারবে? এখানে আফ্রিকার অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। ৪৯টি সাব-সাহারান আফ্রিকা দেশের মধ্যে ৩৯টিই নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করতে অক্ষম।
সাম্প্রতিক অবস্থা পর্যালোচনায় এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ওপরের দিকে। এখন সমস্যাগুলো নিয়ে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পালা। অবকাঠামো, দুর্নীতি, সুশাসন প্রভৃতি অর্থনীতির বাধা। বাংলাদেশ এগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যখন পারছে, তখন আফ্রিকা পারবে না কেন?
- জোহানেসবার্গ থেকে প্রকাশিত ডেইলি মভারিক থেকে সংক্ষেপিত ভাষান্তর মাহফুজুর রহমান মানিক
- সমকালে প্রকাশিত, ১৩ মার্চ ২০১৭
- ই-সমকাল হতে দেখুন
- লেখক: দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রেনথার্স্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক
- Photo: Dhaka, by Mariusz Kluzniak via Flickr
ট্যাগঃ অর্থনীতি, উন্নয়ন, পোশাক শিল্প, বাণিজ্য, বাংলাদেশ-আফ্রিকা