টিপাইমুখ বাঁধ আলোচনার ঝড় তুলেছে। বিষয়টি যতটা না দেশের কল্যাণ আরা অকল্যাণের ইস্যু, তার চেয়ে বেশি হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক ইস্যু। এটি নতুন নয়। অনেক দিন ধরেই চলছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর সংযোগস্থল বরাক নদীতে তৈরি করতে যাচ্ছে এ বাঁধ। এটি মূলত একটি জলাধার। এ জলাধার দিয়ে ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। তাদের লক্ষ্য ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের প্রতিবেশী হিসেবে এবং আমাদের অভিন্ন নদীর পানিকে পুঁজি করে এ বাঁধ নির্মাণে আমরা মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হব। শুধু বাংলাদেশে নয়, খোদ ভারতের কয়েকটি রাজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী সিলেটের ১৮টি জেলাসহ ৭টি হাওরের জেলাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রয়োজনের সময় এ জেলাগুলো পানি পাবে না। ফসল উৎপন্ন হবে না। প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হবে, যা শুধু এ জেলাগুলোর জন্যই নয়, গোটা দেশের জন্যই হুমকিস্বরূপ।
এ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা চলছে ভারতেও। ভারতের মনিপুরের ৫০টি সংগঠন, বাংলাদেশের লন্ডন প্রবাসীদের সংগঠন, দেশের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে আন্দোলন, মিছিল-মিটিং অব্যাহত রেখেছে। বিশিষ্ট পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক, টিআইবির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ এ বাঁধ নির্মাণ বন্ধে সরকারের ভূমিকার প্রত্যাশা করেছেন। কারণ ভারতের সঙ্গে আমাদের পক্ষে কথা বলার দায়িত্ব সরকারের। পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে ঐকমত্য প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রেও প্রধান দায়িত্ব সরকারের। এ ধরনের একটি জাতীয় ইস্যুতে বিরোধী দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ২৪ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছেন, জনগণের জন্য যা মঙ্গল, সে সিদ্ধান্তই নেবে সরকার। দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যাণের পক্ষে সরকার রয়েছে। আমরা সাধুবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকে এ বক্তব্যের জন্য। তার এ কথা যেন বাস্তবের মুখ দেখে। সরকার যেন দ্রুত ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসে দেশের কল্যাণে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়।
http://www.jugantor.info/enews/issue/2009/07/09/news0721.php
replica handbag has made a name for itself through years of dedication and hard work. Some of the finest collection of replica bag and purses in the market are the Louis Vuitton collection.