আজকের আলোচনায় অবশ্য তাজমহলের রঙের প্রসঙ্গ ভিন্ন। সেটা টাইমস অব ইন্ডিয়ারই গত বছরের প্রথম দিকের এক প্রতিবেদনের সঙ্গে মেলানো যায়। যেটি বলছে, 'পলিউশন টার্নি তাজমহল ইয়েলো :স্টাডি' অর্থাৎ গবেষণা বলছে, দূষণের কারণে তাজমহল হলুদ হয়ে যাচ্ছে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। যারা দেখাচ্ছেন, বায়ুদূষণের ফলেই বিশেষত তাজমহল হলুদাভ হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই জানেন, ভারতের আগ্রা বায়ুদূষণের দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম শহর। যদিও বায়ুদূূষণকারী যানবাহন তাজমহলের কাছে আসা নিষিদ্ধ। পর্যটকদের গাড়ি রাখার স্থান থেকে হেঁটে, উটের গাড়িতে চড়ে অথবা বৈদ্যুতিক বাসে করে তাজমহলে যেতে হয়। যা হোক, বুধবারই বিবিসি 'হোয়াই ইজ ইন্ডিয়া'জ তাজমহল টার্নিং গ্রিন? অর্থাৎ ভারতের তাজমহল কেন সবুজ হয়ে যাচ্ছে?' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে তাজমহল সবুজ হওয়ার কারণসহ কয়েকটি বিষয় আলোচিত হয়। এর কোনোটাই ইতিবাচক নয়। এর আগে বায়ুদূষণের কথা টাইমস অব ইন্ডিয়ায় দেখা গেছে। এখানে নদীদূষণ ও পাশের তেল পরিশোধন কেন্দ্রের কারণেও দূষণের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাজমহলের পাশে একটি শপিং সেন্টার তৈরির বিষয়টি। এমনকি তার পাশে একটি শ্মশানের কাঠ পোড়ানোর কারণে তাজমহলের ক্ষতির কথা এসেছে। একই সঙ্গে তাজমহলে যে সন্ত্রাসী হামলার শিকারের আশঙ্কা আছে, তা-ও বলা হয়েছে।
তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এর সবুজ হওয়ার খবরটি। সবাই সবুজ হওয়াকে ইতিবাচক অর্থেই নেন। কিন্তু এখানে আদৌ ইতিবাচক নয়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাজমহলের রঙ ক্রমে অনেকটা সবুজ হয়ে উঠছে। কারণ হিসেবে পরিবেশবিদরা বলছেন, নানা পোকামাকড়ের বিষ্ঠা জমে তাজমহলের সাদা মার্বেল অনেকটা সবুজাভ হয়ে উঠেছে। এই সবুজ হওয়ার মধ্যেও হয়তো ইতিবাচক খবর এটা যে, কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি তাজমহলকে সব ধরনের দূষণ থেকে বাঁচানোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং নিচ্ছে।