এমন একসময় জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন শিশু দিবস উপস্থিত, যখন শিশুদের নিয়ে নানা মন খারাপের ঘটনা চারদিকে দেখছি আমরা। ইন্টারনেটে শিশু পরিস্থিতি খুঁজতে গেলে সামনে আসবে—শিশুশ্রম, বাল্যবিয়ে, অপুষ্টি, শিশু নির্যাতন, শিশু অধিকার লঙ্ঘন ইত্যাদি। এর বাইরেও সিরিয়া, ফিলিস্তিন, মিয়ানমারসহ নানা দেশে বড়দের জিঘাংসার শিকার শিশুদের ভেবে আমরা শিউরে উঠি। আফ্রিকার কোনো কোনো দেশের হাড্ডিসার শিশুর চিত্র আমরা হতবাক হয়ে দেখি। বিশ্বব্যাপী এসব চিত্র হতাশ করে বটে, তার পরও আমরা আশার আলো দেখি, পৃথিবীব্যাপী নানামুখী উদ্যোগ আমাদের প্রেরণা জোগায়।
সর্বজনীন শিশু দিবসটি জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৫৯ সালের ‘শিশু অধিকার ঘোষণা’ ও ১৯৮৯ সালের ‘শিশু অধিকার কনভেনশন’ প্রণয়নের দিন তথা ২০ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন তারিখে শিশু দিবস পালন করা হয়। আমাদের দেশে ১৯৯৬ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর অক্টোবরের প্রথম সোমবারকে ধরা হয় বিশ্ব শিশু দিবস। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জুনের ১ তারিখ শিশু দিবস। আর সর্বজনীন শিশু দিবস নভেম্বরের ২০ তারিখ।
তারিখ যেটাই হোক না কেন, সবারই কথা শিশুদের জন্য সুন্দর একটা আবাসন গড়ে তোলা। শিশুদের উপযোগী করে বিশ্বকে তৈরি করা। আর এসবই হচ্ছে বড়দের নৈতিক দায়িত্ব। অবশ্য শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপদ ‘নীল’ বিশ্ব গড়ার আহ্বান জানিয়ে এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য করা হয়েছে, ‘চিলড্রেন আর টেকিং ওভার অ্যান্ড টার্নি দ্য ওয়ার্ল্ড ব্লু।’ Continue reading