মূল: রুমানা আহমেদ

অধিকাংশ আমেরিকান মুসলমানের মতো আমিও ২০১৬ সালটা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মুসলমানদের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদ্বেষ দেখে কাটিয়েছি। তা সত্ত্বেও কিংবা এ কারণেই আমি চিন্তা করেছিলাম ট্রাম্প প্রশাসনে আমার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের স্টাফ হিসেবে থাকাই উচিত। যাতে নতুন প্রেসিডেন্ট ও তার সহকর্মীদের ইসলাম ও আমেরিকার মুসলিম নাগরিকদের সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পারি।
কিন্তু আমি টিকে ছিলাম মাত্র আট দিন।
যখন ট্রাম্প সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশ ও সব সিরিয়ান শরণার্থীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, তখন আমি জানতাম, আমি এখানে আর থাকতে পারব না এবং সে প্রশাসনের হয়ে কাজ করতে পারব না, যারা আমাকে ও আমার মতো মানুষদের নাগরিক হিসেবে নয় বরং হুমকি হিসেবে দেখে।
একই অফিসের হিসেবে আমি ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ যোগাযোগ উপদেষ্টা মাইকেল অ্যান্টনকে আমার পদত্যাগের কথা জানালাম। তিনি বিস্মিত হয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞেস করেন, আমি পুরোপুরিভাবে সরকারকে ত্যাগ করছি কি-না? তারপর তিনি সতর্কতার সঙ্গে নীরব ছিলেন। আর কারণ জানতে চাননি।
যাই হোক আমি তাকে বললাম, আমাকে চলে যেতে হবে, কারণ প্রতিদিন এই দেশের সবচেয়ে ঐতিহাসিক ভবনে এমন এক প্রশাসনের অধীনে কাজ করা আমার জন্য অপমানজনক। যে প্রশাসন একজন আমেরিকান ও একজন মুসলিম হিসেবে আমার স্বার্থের বিপক্ষে এবং তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করে। আমি তাকে বললাম, এই প্রশাসন তো গণতন্ত্রের নীতি ও বিশ্বাসের ভিতকেই আক্রমণ করে বসেছে।