নির্বাচিত হবেন- এমন সম্ভাবনা না থাকা সত্ত্বেও কিন্তু অনেকে নির্বাচনে প্রার্র্থী হন। নির্বাচিত হলে তো কথাই নেই, না হলেও প্রার্থীর কোনো লাভই যে হয় না, তা নয়। প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে যে কেউ যেমন তার জনপ্রিয়তা যাচাই করতে পারেন, তেমনি নিজেকে পরিচিত করার সুবর্ণ সুযোগও গ্রহণ করতে পারেন। আজকালকার নির্বাচন মানেই প্রচার-প্রচারণা। ছবি সংবলিত পোস্টার, প্রার্থীর গুণকীর্তন করে লেখা লিফলেট, বিশাল আকারের ব্যানার আর মানুষের কর্ণকুহরে পেঁৗছার জন্য করা হয় মাইকিং। দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাওয়া তো আছেই। তার বাইরে আজকের যুগে সংবাদমাধ্যমও প্রচারের বড় ক্ষেত্র। প্রচার-প্রচারণার কাজে সাধারণত সমর্থক গোষ্ঠী ছাড়াও ব্যক্তির পরিবার সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে থাকে। পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা যেমন প্রচারের কাজ করেন, তেমনি ভোটও দেন। কিন্তু বিপত্তিটা তখনই হয়, যখন একই পরিবারের দুইজন একই পদে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হন। এ রকম ঘটনা কম ঘটলেও নির্বাচনের সময় নানা জায়গায় তা দেখা যায়। ইউপি নির্বাচন নিয়ে সমকালের রোববারের বিশেষ আয়োজনে এ রকমই একটি খবর_ ‘ফুলবাড়িয়ায় বাবার প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়ে’। Continue reading
Monthly Archives: এপ্রিল ২০১৬
তাপদাহে বুলবুলির প্রশান্তি
আবহাওয়া জানান দিচ্ছে, চৈত্র মাসই চলছে। যদিও এর আগের পরিবেশ ছিল একেবারে ভিন্ন; বৃষ্টি, মেঘলা আকাশে ভর করে পার হয় কয়েকটি দিন। এরপর গত কয়েকদিনের তাপদাহে পুড়ছে মাঠঘাট। পুড়ছে মানুষ। পশুপাখি, প্রাণিকুলও অতিষ্ঠ। নয়তো পানি পেয়ে দুটি বুলবুলির ভিজিয়ে নেওয়ার এমন ছবি শনিবারের সমকালে হয়তো দেখা যেত না। মাহবুব হোসেন নবীন ছবিটি তুলেছেন ঢাকার কোনো এক বাসার ওপর থেকে। ছাদের কার্নিশে জমে থাকা একটু পানির খোঁজ পেয়েছিল দুটি বুলবুলি। গরমের প্রশান্তি হিসেবে নিজেদের সেখানে ভিজিয়ে নিতে দেরি করেনি তারা। সে দুর্লভ চিত্র দেখতে পেয়ে তুলতেও একটুখানি ভুল করেননি ফটোসাংবাদিক। ছবি তোলার দিন শুক্রবার রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি বছরে রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। শনিবারের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৪.৮ ডিগ্রি। রোববারের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অবশ্য বাড়াবাড়ি মাত্রার তাপমাত্রা কেবল ঢাকায়ই নয়; দেশের সবখানে। সমকাল যেমন এ ছবি ছেপেছে, তেমনি তাপদাহের চিহ্নস্বরূপ তরমুজ খাওয়ার দৃশ্য, শিশুদের সাঁতারের দৃশ্য, মুখে পানি ছিটানোসহ নানা দৃশ্যও সংবাদপত্রে এসেছে। এগুলো প্রচণ্ড গরমের প্রশান্তি। Continue reading
গল্প ও জীবন- সমানে সমান
গল্প আর জীবনের দুরত্ব কতটুকু? লেখকের কাছে এর উত্তর হয়তো আছে। একেকজন একেকভাবে সেটা বলতে পারেন। তবে এটা মনে হওয়াও বিচিত্র নয় যে, এ দুয়ের মাঝে বিশেষ কোন দুরত্বই নেই। গল্পকার গল্প বানান ঠিকই আছে। তা জগতের বাইরের কিছু নয়। মানুষেরই গল্প। মানুষের হাসি-কান্না-সুখ-দুঃখের গল্প। ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় কিংবা অন্য কোন জীবনের গল্প। সেখানে গল্প ও জীবন চলে সমানে সমান। জীবনের নানাবিধ অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার যার যত বেশি সে তত শক্তিশালী লেখক বা গল্পকার।
এ জন্য লেখক হওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা চোখ লাগে। সাধারণ মানুষ কোন কিছু দেখে যখন হাঁসে কিংবা কাঁদে লেখক কেবল তা-ই করে না, এর ভেতর থেকে লেখাটাও তৈরি করে নেয়। গল্পকার গল্প সাজায়, একেকটা ঘটনা একেকটা অভিজ্ঞতা দেয়। তা নিয়ে গল্প লেখা হয়। তাতে এমন অনেক বিষয় উঠে আসে যেটা হয় চাক্ষুষ নয় অন্তরের বিষয়। কিন্তু গল্পকারের চোখে ধরা না পড়ে পারে না। সে গল্প পড়ে পাঠকও আশ্বর্য হয়। ভাবে এ যে তারই গল্প, তারই আত্মকথা।সোহেল নওরোজের ডানাভাঙা শালিকের সুখ তেমনি এক গল্পগ্রন্থ। নামের সঙ্গে সুখ থাকলেও ১৬ টি গল্পে কেবল সুখই নেই বেদনাও আছে, আশা নেই হতাশাও আছে, ভালো লাগা নেই মন্দ লাগাও আছে। গল্পের একেকটা শিরোনামই যেন সে অবস্থা বলে দেয়। বোধের দরজায় বৃদ্ধ বাবার সামনে এক কঠিন বাস্তবতা হাজির হয়। তার করুণ মৃত্যু পাঠককে অশ্রুসিক্ত না করে পারবে না। রোদবলিকা, টান কিংবা দোলাচল যেন নিঃশ্বাসে মিশে থাকা গল্প। এর মাঝেও সানাউল্লাহর কাহিনী আর অভিশপ্ত রাত তুমিগ্রস্ত আঁধারের মতই করুণ। Continue reading
বিশ্ব উদ্বিগ্ন: বারাক ওবামা
পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার আজ বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তায় সবচেয়ে বড় হুমকি। সাত বছর আগেই আমি চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগে জাতিসংঘের কাছে এই অস্ত্রের বিস্তার রোধ ও পারমাণবিকমুক্ত বিশ্বের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলাম। আমার আগে রোনাল্ড রিগ্যানসহ ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান কয়েকজন প্রেসিডেন্টও এ স্বপ্ন দেখেছিলেন। রোনাল্ড রিগ্যান বলেছিলেন, ‘আমরা চাই একদিন পৃথিবী থেকে পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ হবে।’
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আমাদের চতুর্থ পারমাণবিক নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রাগের কর্মসূচি এগিয়ে নিতে আমি ৫০টিরও বেশি দেশের নেতাদের নিমন্ত্রণ জানিয়েছি। সন্ত্রাসীরা যাতে পারমাণবিক অস্ত্র হাতে না পায় এবং ব্যবহার করতে না পারে, সেটা আমাদের এজেন্ডা। আমরা আমাদের অবস্থা পর্যালোচনা করব। যেমন এক ডজনেরও বেশি দেশ ইউরেনিয়াম ও প্লুটোনিয়ামে সমৃদ্ধ হয়েছে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘ নতুন করে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবো। পারমাণবিক নিরাপত্তা জোরালো করতে আমরা আন্তর্জাতিক চুক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ক্রমশ শক্তিশালী করব। Continue reading