‘মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’ এটা প্রবাদের কথা। বাস্তবও বটে। তবে তা অন্তত লাখেরাজ কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য নয়। ২১ জুলাই প্রকাশিত সমকালের একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম বলছে, ‘আকাশে মেঘ দেখলেই ছুটির ঘণ্টা বাজে’। বরিশালের গৌরনদীর এ বিদ্যালয়টির মেঘ দেখে ভয় না করার কোনো উপায় নেই। কারণ সূর্য হাসার আগেই বৃষ্টি তাদের ভিজিয়ে দেবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ তাদের পড়ার বই-ই যদি ভিজে যায়, তবে মেঘকে ভয় না করার উপায় আছে? Continue reading
Monthly Archives: জুলাই ২০১৩
আইল বাঁধার প্রচেষ্টা
আইলের কথা সবাই জানেন। তারপরও বলা যায়, আইল জমির চারদিকের সীমানা। জমির ভেতরের পানি, সার ইত্যাদি যাতে বাইরে না যায় তা আটকায় আইল। ক্ষেত চাষার সময় আইল বাঁধাটা জরুরী। এই আইল বাঁধাটা কেবল জমিতেই নয়, অন্য ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এরকম একটা চমৎকার ক্ষেত্রের কথা বলেছেন আবদুর রাজ্জাক। জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক। শিরোনামটা তার কথা থেকেই ধার করা। তাকে নিয়ে লেখা আহমদ ছফার যদ্যপি আমার গুরু যারা পড়েছেন তাদের জানার কথা। আবদুর রাজ্জাক এবং আহমদ ছফার অনেকটা কথোপকথনধর্মী বইটা। প্রাসঙ্গিক অংশটুকু উদ্ধুত করছি, যেখানে আহমদ ছফা বলছেন- ‘রাজ্জাক স্যার জিগ্গেস করলেন, পড়ার সময় দরকারি অংশ টুইক্যা রাখার অভ্যাসটা করছেন কি না? আমি চুপ করে রইলাম। তার অর্থ এই যে আমি কোনো নোট রাখিনি। স্যার মন্তব্য করলেন, তাইলে ত কোনো কামে আইব না। ক্ষেত চষবার সময় জমির আইল বাইন্ধ্যা রাখতে হয়।’ Continue reading
কাগজ-কলম কিংবা প্রযুক্তি
লেখার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হিসাব করতে গেলে অবশ্যম্ভাবী হয়ে দুটি বিষয় মাথায় হাজির হয়_ কাগজ ও কলম। লেখার সঙ্গে এ দুটি বিষয় এত অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত যেন এগুলো ছাড়া লেখালেখি কদাপি সম্ভব নয়। লেখালেখির ইতিহাসও তা-ই বলে। কাগজ-কলমের যখন আবিষ্কার হয়নি তখনও মানুষ লিখেছে গাছের পাতায় কিংবা চামড়ায়। কালি দিয়ে লিখত মানুষ। এরকম হাতের লেখায় প্রাচীন নানা গ্রন্থ আমরা দেখেছি। তবে লেখালেখি বলতে এতদিন সবাই যে ‘হ্যান্ড রাইটিং’ বা হাতের লেখা বুঝে আসছেন সেখানে এক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। কাগজ-কলম ছাড়াও এখন মানুষ লিখে। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ায় ‘থ্যাংকস টু ই-মেইল অ্যান্ড এসএমএস, উই আর লুজিং দ্য আর্ট অব রাইটিং‘ শীর্ষক ব্লগটিতে জুগ সুরাইয়া তার কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। তার শিরোনাম থেকেই ই-মেইল আর এসএমএস পাওয়া গেল, যেগুলো লিখতে কাগজ-কলমের প্রয়োজন হয় না। চিঠির বদলে, বিষয়গুলো যে চিঠির সে আবেদন, শিল্পকৌশল ধরে রাখতে পারছে না মোটাদাগে তাই তিনি বুঝিয়েছেন। তারপরও এগুলোকে তার থ্যাংকস দেওয়ার বিষয়টা অবশ্য অন্যরকম। Continue reading
বৃদ্ধ আইন!
নচিকেতার বৃদ্ধাশ্রম গানটি যে কারও হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। মানবজীবনের এক নির্মম বাস্তবতার কথা বলছে এটি। গানের প্রথম দিকের চেয়ে শেষের কথাগুলো বোধহয় বেশি বাস্তব। ‘ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার/মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী/সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।’ প্রথম এ ক’টা লাইনের পরই দেখা গেল, কম দামি বলেই বাবার স্থান হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে। গান হলেও এটি আসলে সমাজের কথাই বলছে। উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের দেশে বৃদ্ধাশ্রম এখন সেভাবে দেখা না গেলেও মা-বাবা বৃদ্ধ ও অসামর্থ্য হলে তাদের অবস্থা কারও অজানা নয়। অনেক ক্ষেত্রেই মা-বাবা থাকেন ছেলেমেয়ে থেকে দূরে। কাছে থাকলেও তাদের যে ধরনের সেবাযত্ন প্রয়োজন তা অনেকে পান না। এর ব্যতিক্রম থাকলেও তাদের অসহায়ত্বের চিত্রই বেশি দেখা যায়। Continue reading