শূন্যস্থানে হয়তো অনেক কিছুই বসানো যাবে। সত্যিকারার্থেই এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো ছাড়া চলে না। যেমন বাঁচতে হলে খেতে হবে, ঘুমাতে হবে, পোশাক লাগবে, থাকার ব্যবস্থা লাগবে। কিন্তু দিন দিন এমন বিষয়ও অনেকের আবশ্যকীয় তালিকায় চলে এসেছে, যেটা হয়তো কিছু দিন আগেও নিত্যব্যবহার্য ছিল না। এখন সেসব ছাড়া যেন চলেই না। অনেকের ফেসবুক ছাড়া চলে না। কারও সবসময় ইন্টারনেট লাগবেই। মোবাইল ছাড়াও যে অচল। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান অনলাইনের লাইফ অ্যান্ড স্টাইল বিভাগে ‘হোয়াট আই এম রিয়েলি থিংকিং’_ সতিকারার্থেই ‘আমি কী ভাবছি’ শিরোনামে অনুবিভাগটি দেখছি আর আমাদের সাধারণ কিছু না থাকার ‘অসাধারণ’ অভিব্যক্তির কথা ভাবছি।
আসলে তথ্যপ্রযুক্তিসহ কিছু বিষয়ের ওপর মানুষ এত বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে যে, এগুলো অল্পসময় হাতছাড়া হলেও যেন কী অস্বস্তি। হয়তো আপনি বাজারে এসেছেন অল্প সময়ের জন্য, মোবাইলটি আনতে ভুলে গেছেন। সারা পথ কিংবা যতক্ষণই বাজারে থাকছেন আপনার মনে হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই বা মারাত্মক ভুল করে ফেলেছেন, ভুল করার জন্য আফসোসের শেষ নেই। আবার ধরুন, কারিগরি ত্রুটির কারণে ইন্টারনেট নেই। মনে হবে যেন ইন্টারনেট না থাকার কারণে সব কাজ আটকে আছে। ইন্টারনেট ছাড়া যেন এক মূহুর্তও চলে না। বিদ্যুতের অবস্থাও তথৈবচ। বিদ্যুৎ না থাকলে তো নগরজীবন অচল। Continue reading