ড. ছিদ্দিকুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হিসেবে ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি একই ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইউনিসেফসহ দেশি-বিদেশি নানা প্রতিষ্ঠানে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৯ সালে দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট ও ১৯৮২ সালে লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট ডক্টরেট অর্জনকারী ছিদ্দিকুর রহমান কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন
সমকাল: করোনা দুর্যোগের প্রভাব শিক্ষা খাত কতটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বলে আপনি মনে করেন?
ছিদ্দিকুর রহমান: গত বছরের মার্চ মাসে দেশে যখন প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়, স্বাভাবিকভাবেই সবার মধ্যে একধরনের আতঙ্ক ছিল। আমরা দেখেছি, একে একে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। লকডাউনের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরপর ধীরে ধীরে সব খুললেও এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালু হয়নি। এখন বলা চলে সবই প্রায় স্বাভাবিক। হাট-বাজার, কল-কারখানা, অফিস-আদালত, পরিবহন- কোনো কিছুই বন্ধ নেই। দীর্ঘ সময় শিক্ষাঙ্গন বন্ধ থাকার ফলে আমাদের শিক্ষার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। এর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন।
সমকাল: করোনার এ সময়ে অনলাইনসহ নানাভাবে দূরবর্তী শিখন কার্যক্রম আপনি দেখেছেন নিশ্চয়ই। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?
ছিদ্দিকুর রহমান: বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনলাইন কিংবা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে দূরবর্তী শিখন কার্যক্রমের বিকল্প ছিল না, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশই কেবল এর মাধ্যমে শেখার সুযোগ পেয়েছে। অধিকাংশই সে সুযোগ পায়নি। তার ওপর শিশুদের জন্য সশরীরে শিক্ষাঙ্গনে উপস্থিত থেকে শেখা আর অনলাইনে শেখা এই দুইয়ের মধ্যে ব্যাপক ফারাক রয়েছে।
সমকাল: শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত কীভাবে দেখছেন?
ছিদ্দিকুর রহমান: শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে ওঠার জন্য অটোপাসের সিদ্ধান্ত যথোচিত বলে আমি মনে করি না। Continue reading