শিক্ষার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা করোনা দুর্যোগে সৃষ্ট প্রভাব অটোপাস-অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে কোনো রকম কাটিয়ে উঠতে পারলেও উচ্চশিক্ষা এখনও বলা চলে পিছিয়ে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেবল স্নম্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সম্পন্নের আয়োজন করছে। অন্যান্য বর্ষের ব্যাপারে প্রশাসন এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এ সপ্তাহের মধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিকের (অটোপাসের) ফল প্রকাশ হবে। এরপরই উচ্চশিক্ষায় ভর্তির তোড়জোড় শুরু হবে। ভর্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অবশ্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তিতে সম্মত হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত চার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আগে থেকেই স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলেছে। সবাই গুচ্ছ পদ্ধতিতে এলে অন্তত করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতো। তারপরও অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে যাচ্ছে- এটা ভালো বিষয়। কিন্তু স্বস্তি মিলছে না; বিভাগ পরিবর্তনের বিষয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে।
করোনা থেকে সুরক্ষা দিতে প্রশাসন পরীক্ষা কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ হলে শিক্ষার্থীরা দুর্যোগ উপেক্ষা করেই মাঠে নেমেছে? আগে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য তথা বিজ্ঞান বিভাগ, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীরা নিজস্ব বিভাগে ভর্তি হতে না পারলেও বিভাগ পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ইউনিটে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শর্তসাপেক্ষে অন্য বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ ছিল। এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির ক্ষেত্রে এ রকম পৃথক কোনো ইউনিট রাখা হয়নি। ভর্তিচ্ছুরা বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছে। এই দাবিতে রাজধানী ঢাকা, বরিশাল শহরসহ বেশ কিছু জায়গায় তারা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। Continue reading