Mahfuzur Rahman Manik
প্রযুক্তির মেলবন্ধন না ঘটলে বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ শঙ্কায়
ফেব্রুয়ারী 24, 2022

সাক্ষাৎকার: জাকারিয়া স্বপন

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : মাহফুজুর রহমান মানিক

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জাকারিয়া স্বপন বাংলাদেশের প্রথম অনলাইনভিত্তিক অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান 'আইপে সিস্টেমস লিমিটেড' ও বাংলা ভাষার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট প্রিয় ডটকমের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তথ্যপ্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতক জাকারিয়া স্বপনের জন্ম ময়মনসিংহে। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন মাহফুজুর রহমান মানিক।

সমকাল: 'মাতৃভাষা বাংলার সর্বস্তরে প্রচলন'- এর সঙ্গে ইন্টারনেটে বাংলার বিষয়টি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

জাকারিয়া স্বপন: আমরা তো সবাই প্রত্যাশা করি, সর্বস্তরে বাংলার প্রচলন হোক। এই প্রত্যাশার আলোকে ইন্টারনেটে বাংলা প্রচলনের বিষয়টিও দেখার অবকাশ রয়েছে। ইন্টারনেটের ফলে বাংলা ভাষার ব্যবহার বেড়েছে। মানুষে মানুষে বেশি যোগাযোগ হচ্ছে। আর যোগাযোগের মূল মাধ্যম যেহেতু মাতৃভাষা, তাই এর ব্যবহারও বেড়েছে। ভাষা সৃষ্টির শুরু থেকে এ পর্যন্ত নানাভাবে ভাষার রূপান্তর ঘটেছে। বর্তমানে ভাষা ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম হলো ইন্টারনেট। যেমন হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে আগে ইংরেজিতে কথোপকথন হতো। এখন সেখানে বাংলায় হচ্ছে।

সমকাল: তার মানে, ভাষা হিসেবে বাংলাকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিরও ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে?

জাকারিয়া স্বপন: ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি এখন আমাদের জীবনের অংশ। সুতরাং ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার প্রশ্নে প্রযুক্তির ভূমিকা স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি বইয়ের কথা বলি; এটাও কিন্তু এক ধরনের প্রযুক্তি। বই ভাষার ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য অবদান রেখে চলেছে। বইয়ের মাধ্যমে আজকে আমরা রবীন্দ্রনাথ, নজরুলসহ বিখ্যাত লেখকদের লেখা পড়তে পারছি। এসব বই ভাষার সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। নতুন প্রযুক্তি হিসেবে ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার যেমন রয়েছে; তেমনি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, টেক্সট টু স্পিচসহ আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ভাষার ব্যবহার হচ্ছে। যেসব ভাষা প্রযুক্তির স্পর্শ পায়নি, সেসব ভাষার উল্লেখযোগ্য অংশই পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে খুবই সংকুচিত হয়েছে। পৃথিবী আগের চেয়ে অনেক বেশি গ্লোবাল হচ্ছে। তার সঙ্গে ভাষা গ্লোবাল হচ্ছে আরও বেশি। যেমন ইন্টারনেটের ফলে ইংরেজি ভাষা আরও বেশি গ্লোবাল হয়েছে; শক্তিশালী হয়েছে। যেমন আমরা যত সফটওয়্যার ব্যবহার করছি, তার বেশিরভাগই ইংরেজিতে। ফলে আমাদের ছেলেমেয়েরা নিজের অজান্তেই ইংরেজি শিখে ফেলছে। অন্য একটি ভাষা শেখা দোষের কিছু না। শুধু বোঝাতে চাইছি, ভাষা কীভাবে গ্লোবাল হয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তি কীভাবে নতুন নতুন মানুষের কাছে ভাষাকে নিয়ে যাচ্ছে।

সমকাল: প্রযুক্তির দিক থেকে বাংলা ভাষায় লেখালেখির চর্চা কেমন দেখছেন?

জাকারিয়া স্বপন: প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলায় লেখালেখির চর্চা হচ্ছে অনেক দিন ধরেই। আমার মনে আছে, ২৫ বছর আগে সৈয়দ শামসুল হক ভাইকে ল্যাপটপে কীভাবে বাংলা লিখতে হয়, তা আমি দেখিয়ে দিয়েছিলাম। সেই থেকে দেখছি, লেখালেখির চর্চায় প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। আর বর্তমানে অনলাইন সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইনে লেখালেখির ক্ষেত্রও বেড়েছে ব্যাপকভাবে। প্রযুক্তির কারণে লেখা পাঠানোও সহজ হয়েছে। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বসে ই-মেইলে লেখাটি পাঠানো যাচ্ছে। লেখালেখি হচ্ছে। লেখার পরিমাণ বাড়ছে, তবে মান মোটেও বাড়ছে না। বরং সিরিয়াস লেখালেখি করেন এমন মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

সমকাল: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা অনলাইনে ব্যবহূত বাংলা শব্দ কিংবা বাক্য ব্যবহারে পরিববর্তন ইতিবাচক, না নেতিবাচক?

জাকারিয়া স্বপন: বিষয়টি আমি ইতিবাচক, না নেতিবাচক; তার দৃষ্টিতে দেখতে চাই না। আমি মনে করি, দিন দিন ভাষার যে পরিবর্তন হচ্ছে, এটি তারই অংশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সংক্ষিপ্ত আকারে লিখতে চান। যেমন 'কিয়েক্টা' শব্দটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচলিত। এর অর্থ সবাই কিন্তু বুঝছে এবং এর দ্বারা মানুষের মনোভাব ভালোভাবেই প্রকাশ পাচ্ছে। সুতরাং এসব শব্দ একদিন অভিধানে ঢুকে যেতে পারে। একটি ভাষাকে সিন্দুকে আটকে রাখার কিছু নেই। ভাষা পরিবর্তিত হতেই পারে। বাংলা ভাষা আজ যেখানে এসেছে, সেটাও একটা পরিবর্তনের ভেতর দিয়েই এসেছে। তাই নতুন শব্দ দেখলেই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

সমকাল: সরকার তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা বিস্তারে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নিয়েছে। আপনি কীভাবে দেখছেন?

জাকারিয়া স্বপন: সরকার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সত্য। কিন্তু সেসবের সুফল আসছে কিনা- সেটাই প্রধান বিবেচ্য। যেমন সব মোবাইল ফোনে এখন বাংলায় সহজে লেখা যায়। খুবই ভালো কাজ। আবার দুঃখজনক হলেও সত্যি, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা একটি জাতীয় কিবোর্ড ঠিক করতে পারিনি। বিজয়, অভ্র, নকশা, নিকশ- নানান কিবোর্ড। এ নিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে একাধিক গ্রুপও হয়ে গেছে। আমার কাছে এর অর্থ হলো, আমরা সবাই মিলে ভালো কিছুতে একমত হতে পারি না। আমাদের সেই যোগ্যতা কিংবা সক্ষমতা এখনও তৈরি হয়নি। সবাইকে এক জায়গায় এনে একটা আদর্শ কিবোর্ডই যদি আমরা তৈরি করতে না পারি, সেখানে আরও বড় পর্যায়ের উদ্যোগ কীভাবে সফল হবে? বাংলায় ওসিআর, মেশিন লার্নিং, টেক্সট টু স্পিচসহ আরও বড় পর্যায়ে ভাষার কাজ করা জরুরি। এগুলো নিয়ে সরকার কিছু প্রজেক্ট করছে। তবে এখনও দেখার মতো কিছু হয়েছে বলে শুনিনি।

সমকাল: প্রযুক্তির সঙ্গে বাংলার মেলবন্ধনে ঘাটতি কোথায়?

জাকারিয়া স্বপন: বাংলা ভাষার প্রাযুক্তিক উৎকর্ষ সাধনে বাংলা ভাষা জানা মানুষের সঙ্গে প্রযুক্তিবিদদের মেলবন্ধন জরুরি। আমরা জানি, শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী ১৯৬৫ সালে উদ্ভাবন করেন 'মুনীর অপটিমা' টাইপরাইটার। এ কাজে তিনি যেমন প্রযুক্তিবিদের সহায়তা নিয়েছেন, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতাও পেয়েছেন। ইংরেজিসহ পৃথিবীর সমৃদ্ধ ভাষাগুলো এখন এমন পর্যায়ে গেছে, সেখানে বাক্যের সঙ্গে ইমোশনও ধরা যায়। অর্থাৎ ব্যক্তি রাগ করে কথাটা বলল, নাকি হেসে বলেছে, সেটা কম্পিউটার বুঝতে পারে। আপনি ভুল ইংরেজি লিখলে সেটা কম্পিউটার ঠিক করে দিচ্ছে। এমন আরও বহু বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ অন্য ভাষাতে হচ্ছে। কম্পিউটার ইন্টেলিজেন্সের ওই পর্যায়ে বাংলা ভাষাকে পৌঁছানোর জন্য যে গবেষণা প্রয়োজন, সেখানে ঘাটতি রয়েছে ব্যাপকভাবে। সেখানে আদৌ কোনো গবেষণা হয় বলে আমার জানা নেই এবং দিন দিন বিষয়গুলো আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে। কারণ নতুন প্রযুক্তি এসে সেখানে নতুন ডিমান্ড তৈরি করছে।

সমকাল: ইন্টারনেটে বাংলার জ্ঞানের ভান্ডার কতটা রয়েছে?

জাকারিয়া স্বপন: ইন্টারনেটে বাংলা জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ নয়। বিশেষ করে আমাদের সাহিত্য, ইতিহাস, ঐতিহ্যসহ সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষায় যেসব পুস্তক রচিত হয়েছে, সেগুলো ইন্টারনেটে নেই। অনেকে নিজের পছন্দ থেকে জনপ্রিয় বইগুলোর পিডিএফ অনলাইনে রেখেছেন। এগুলো বাংলার জ্ঞান ভান্ডারের ক্ষুদ্রাংশ মাত্র। আমাদের লাইব্রেরিগুলো ডিজিটালাইজ করা দরকার। আমার মনে আছে, ২০ বছর আগে অ্যামাজন লাইব্রেরি অব কংগ্রেসকে ডিজিটাল করে ফেলে। এখন লাইব্রেরিতে না গিয়ে মানুষ বাসা থেকেই পড়তে চান। কিংবা বিদেশে বসে যারা বাংলা বই পড়তে চান, তারা যেন অনলাইনে প্রয়োজনীয় সব পেতে পারেন সে ব্যবস্থা থাকা চাই। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এটি সম্ভব নয়। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।

সমকাল: উইকিপিডিয়াও একটা তথ্যভান্ডার। বাংলা ভাষার অবস্থান ৫ থেকে ৭-এর মধ্যে। অথচ উইকিপিডিয়ার এন্ট্রির দিক থেকে বাংলার অবস্থান ৬৭তে। এ পরিসংখ্যান কীভাবে দেখছেন?

জাকারিয়া স্বপন: এ তথ্য হতাশাজনক। এটা সত্য, যে কোনো ভাষার উইকিপিডিয়ার অবস্থান নির্ভর করে সে ভাষার স্বেচ্ছাসেবীরা নিজেরা এই জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করতে কতটা সময় দিতে পারছেন এবং কতটা আগ্রহী, তার ওপর। তার মানে, বাংলা ভাষায় সে রকম আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবী প্রত্যাশিত মাত্রায় নেই। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক স্বেচ্ছাসেবী গড়ে তোলা যেতে পারে। পরিকল্পিতভাবে এ কাজ এগিয়ে নিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। সময়ের আলোকে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি।

সমকাল: বাংলা সংবাদমাধ্যম ইন্টারনেটে ভাষার সমৃদ্ধিতে কতটা ভূমিকা পালন করছে?

জাকারিয়া স্বপন: বাংলা সংবাদমাধ্যম ইন্টারনেটে ভাষার সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে। প্রিন্ট মিডিয়ার কন্টেন্ট অনলাইনে আপলোড হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে অনলাইন সংবাদমাধ্যম জনপ্রিয় হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে যেসব লেখা, প্রতিবেদন কিংবা ফিচার রয়েছে, সেগুলো প্রমিত বাংলায়ই রচিত। গুণগত মান বজায় রেখে যেসব সংবাদমাধ্যম কন্টেন্ট তৈরি করছে, তারা অনলাইনে বাংলার সমৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সংবাদমাধ্যম থেকে কন্টেন্ট নিয়ে বাংলা উইকিপিডিয়াও সমৃদ্ধ করা যায়।

সমকাল: দিন দিন প্রযুক্তির ধারা বদলাচ্ছে। এর সঙ্গে বাংলাকে কীভাবে খাপ খাওয়ানো যায়।

জাকারিয়া স্বপন: প্রযুক্তি বদলের সঙ্গে সঙ্গে ভাষার রূপান্তরও জরুরি। বর্তমান পৃথিবী ১০ বছর পর কোথায় যাবে আমরা আঁচ করতে পারি, ভবিষ্যৎমুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে ভাষা সংকট থেকে বাঁচতে পারবে। যেমন অনলাইনে এখন ইউটিউব জনপ্রিয়, সেখানে বাংলা ভাষার অবস্থা কী দেখতে হবে। এখন মেটাভার্সের দুনিয়ায় আমরা প্রবেশ করেছি, সেখানে বাংলার যোগাযোগ কীভাবে হবে, থ্রিডি দুনিয়ায় বাংলার অবস্থান কী হবে- এসবও কিন্তু চিন্তা করতে হবে।

সমকাল: এসব করার মতো প্রযুক্তির দিক থেকে দক্ষ মানবসম্পদ আমাদের রয়েছে?

জাকারিয়া স্বপন: বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মেধাবী মানুষের অভাব। কিংবা বলতে পারেন, তারা সাইডলাইনে চলে গেছেন। এ কাজে আমরা তাদের যুক্ত করতে পারছি না। আরও বিশাল সমস্যা হলো, আমরা নতুন মেধাবীদের ধরে রাখতে পারছি না। দেশসেরা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা পাস করে অল্প দিনের মধ্যেই বাইরে চলে যায়। আমরা তখন গর্ব করে প্রচার করি, আমাদের অমুক গুগলে জয়েন করেছে; মাইক্রোসফট কিংবা ইউটিউবে কাজ করছে। মাঝেমধ্যে আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি, যখন একজন শিক্ষিত মানুষ এটা নিয়ে গর্ব করেন। তিনি আসলে বুঝতেই পারেন না, এ দেশ কী হারাল! আমাদের তো দুঃখ হওয়ার কথা, লজ্জিত হওয়ার কথা। বুঝতেই পারছেন, আমাদের দীনতা কতটা? এটা যে একটা বিশাল 'ব্রেইন ড্রেইন'- সেটা বুঝতেই পারছি না। তারা দেশে থাকলে আমাদের ভাষায় যেসব তৈরি করতে পারত, সে মেধা অন্যরা নিয়ে নিচ্ছে। ভাষার স্বার্থে, দেশের স্বার্থে এসব মেধাবীকে দেশে রাখা প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে মেধার কোনো বিকল্প নেই। এই খাতে মেধাবীদের যুক্ত করতে না পারলে বাংলা ভাষাকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।

সমকাল: সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

জাকারিয়া স্বপন: আপনাকেও ধন্যবাদ। সমকালের জন্য শুভকামনা।

ট্যাগঃ , ,

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।