রথ দেখা এবং কলা বেচা- দুটোরই ইচ্ছে ছিল আমাদের। মানে, একদিকে নিঝুম দ্বীপ দেখা, অন্যদিকে সেখানকার অসহায় শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা। চাইল্ড সেন্ট্রিক ক্রিয়েটিভ সেন্টার বা ফোরসি টিম শিশুর সৃজনশীলতা বিকাশে যেমন চেষ্টা করছে, তেমনি মেডিকেল ক্যাম্পসহ এসব কাজের মাধ্যমে সামাজিক দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসছে। নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে যাওয়ার আগেই টিম ফোরসি সেখানকার স্থানীয় শিশুদের মাঝে শীতের উষ্ণতা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাতে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। বছরের শেষ দিনের গোধূলিতে লঞ্চটি যখন হাতিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়, আমাদের মানসপটে তখন ভেসে ওঠে ইন্টারনেটে দেখা নিঝুম দ্বীপের মনোহর দৃশ্য আর মায়াময় কিছু শিশুর চেহারা।
নতুন বছরের প্রথম সকালে চোখ মেলেই দেখি হাতিয়া দ্বীপ। নদীর পাড়ে ভিড়েছে লঞ্চ। চারদিকে শতব্যস্ত মানুষ। আমরাও নেমে পড়লাম। সৌন্দর্যের দিক থেকে হাতিয়ার মাধুরীও কম নয়। নিঝুম দ্বীপে শিশুদের বস্ত্র দেওয়ার চাপ মাথায় নিয়েও আমরা যাওয়ার পথে হাতিয়ায় দুটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট দেখে ফেলি। প্রথমটি কমলার দিঘি। এখানে কেবল দিঘিই নেই, আছে মনোমুগ্ধকর সৈকত। কমলার দিঘিতে একই সঙ্গে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত আর সুন্দরবনের আমেজ পাওয়া যাবে। সেখান থেকে আমরা যাই নিমতলী সৈকতে। এরপর মোক্তারিয়া ঘাট পেরিয়ে কাঙ্ক্ষিত নিঝুম দ্বীপ। Continue reading