বাংলো শুনলে আমাদের মানসপটে সেই বিশেষ ঘর বা বাড়ির চিত্র উঠে আসে, যেটি উচ্চপদস্থদের বাসগৃহ। বাংলা একাডেমির অভিধানে বাংলো শব্দের অর্থ দেওয়া আছে- চওড়া বারান্দাযুক্ত একতলা বাড়িবিশেষ; বিশেষ আদলে তৈরি বাড়ি; গ্রামবাংলার সম্পন্ন গৃহস্থের বাইরের বৈঠকখানা; পদস্থ চাকুরেদের সরকারি বাসগৃহ ইত্যাদি। বাস্তবে নানা জায়গায় আমরা দেখি, সরকারি জেলা-উপজেলার ডাকবাংলো। বিশিষ্ট কারও বাংলো। এই যে বাংলো, যাকে বাংলা হিসেবেও অভিহিত করা হয়; অনেকে ভাবতে পারেন, এই অভিধাটি বুঝি কেবল বাংলাদেশ কিংবা ভারতীয় উপমহাদেশেই সীমাবদ্ধ। বিষয়টি তা নয়। ৯ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ান তাদের লাইফ অ্যান্ড স্টাইল বিভাগে ফিচারধর্মী একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে; শিরোনাম- দ্য রাইজ অব দ্য বাংলো: ‘পিপল ক্যান বি স্নোবিশ, বাট এটিটুডস আর চেঞ্জিং’। বোঝাই যাচ্ছে, প্রতিবেদনটি ইংল্যান্ডে বাংলোর সংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলছে। প্রতিবেদনটির সূচনা বেশ চমকপ্রদ। যেটি বলছে, বাংলো শব্দটি এসেছে হিন্দি ‘বাংলা’ হতে। যার অর্থ বাংলা সংশ্নিষ্ট। ঔপনিবেশিক শাসনামলে এর প্রচলন হয়। ব্রিটিশদের রাজত্বের সময় প্রশাসকদের বাংলোতে এসে করদাতারা বড় বারান্দায় বসত। বারান্দা চা-চাষি কিংবা তাদের ভৃত্যদেরও বসার স্থান ছিল। ব্রিটিশ শাসনামলের সেই বাংলোই ইংল্যান্ডে বাংলো প্রচলনের মূল কারণ।
বাংলাদেশের বাইরে বাংলো আজ কেবল ইংল্যান্ডেই সীমাবদ্ধ নয়; অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকারও বাংলোর কথা বলছে উইকিপিডিয়া। এদের অধিকাংশের গঠনই বাংলাদেশের বাংলোর আকৃতির। এটি সাধারণত একটি বড় কটেজের মতো। যেটি একতলা কিংবা দোতলাবিশিষ্ট। সামনে থাকছে লম্বা করিডোর। Continue reading