মূল: লুক হান্ট
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বলছে, গত সপ্তাহে তারা রোহিঙ্গা শরণাথীদের প্রত্যাবাসনে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে। যদিও চুক্তিতে কিছু সীমাবদ্ধ রয়েছে, সংকট পুরোপুরি কাটাতে এটি খুব একটা সহায়ক হবে বলে মনে হয় না। পোপ যখন ভ্যাটিকান থেকে উভয় দেশেই সফরে, ঠিক তার প্রাক্কালে তাড়াহুড়ো করে এ রকম চুক্তি অগোছালো কূটনীতিরই পরিচায়ক।
চুক্তিটি বলা চলে পরীক্ষামূলক, যেখানে অনেক অস্পষ্টতা রয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে, দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। চুক্তিটি এমন সময়ে হলো, তার আগের দিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণকে সমর্থন করে বলেছেন, রোহিঙ্গাবিষয়ক তথ্যাদি সতর্ক হয়ে পর্যালোচনা করলে বলা যায়, রোহিঙ্গা মুসলিমদের টার্গেট করে চালানো সহিংসতা জাতিগত নিধন বৈ কিছু নয়।
আগস্ট মাসের শেষ দিকে মিয়ানমারের পুলিশ পোস্টে হামলা ও তার জের ধরে সামরিক বাহিনীর অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলিমরা রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। রোহিঙ্গার ঢল এখনও থামেনি। এমনকি সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রত্যাবাসন চুক্তির পরও আসছে রোহিঙ্গারা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ছয় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। নেপিদো রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলে স্বীকৃতি দেয়নি, বরং তাদেরকে বাঙালি হিসেবে দেখছে; যদিও তারা এর আগে মিয়ানমারেই বসবাস করে আসছিল।
১৯৯২-৯৩ সালের চুক্তিকে ভিত্তি করে এবারও সমঝোতা স্বাক্ষরিত হলো, যেখানে মিয়ানমার কেবল তাদেরই গ্রহণ করবে, আগে যারা সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত নিজেদের পরিচয়পত্র দেখাতে পারবে। এর মধ্যে থাকবে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ‘সাদা কার্ড’ কিংবা ‘সাদা কার্ড’ জমা দেওয়ার রসিদ। কিন্তু এ পদ্ধতি কতটা সফলভাবে কাজ করবে, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।