অনেকে কম কথা বলেন, কাজ বেশি করেন। কেউ কথা বেশি বলেন, কাজ কম করেন। অনেকে যতটুকু বলেন, ততটুকু করেন। কেউ আবার না করেও বলেন। আর কেউ না বলেও করেন। এই কথা ও কাজের ক্ষেত্রে কে ভালো কে মন্দ, তা সবাই জানেন। তার পরও একটা মান বা স্ট্যান্ডার্ড বোধহয় আমাদের চারপাশ থেকেই বোঝার আছে।
রাস্তায় চলতে গেলে কোথাও ‘বিপদ’ লেখা থাকলে কেউ আর অগ্রসর হন না। ছোট্ট ‘বিপদ’ শব্দই সবাইকে সতর্ক করে দেয়; প্রত্যেকে বিকল্প দীর্ঘ পথ ধরেন। কাউকে দূর থেকে দেখে আসুন বললে কিংবা ছোট্ট ইশারা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনেক পথ ভেঙে চলে আসেন। পানি দাও বললে নির্দেশিত ব্যক্তি গ্গ্নাস হাতে নিয়ে পানির আধার বা জগ থেকে পানি ঢেলে ব্যক্তিকে দেন। ‘দ্রুত’ একটি শব্দ হলেও কাজটি তাড়াতাড়ি শেষ করতে ব্যক্তিকে হয়তো চেষ্টা করতে হয় অনেকক্ষণ। একটা শব্দে কেউ দীর্ঘশ্বাস নেন, কেউ হয়তো এক শব্দের কোনো কথায় হাসতে থাকেন অনেক সময় ধরে কিংবা কাঁদেন দীর্ঘক্ষণ।
একইভাবে ছোট্ট চিহ্নও প্রত্যেককে পরিচালিত করে। Continue reading
Monthly Archives: সেপ্টেম্বর ২০১৬
ওজন যখন নির্বাচনী ইস্যু
হিলারি-ট্রাম্প দু’জনের মধ্যে কে কতটা হোয়াইট হাউসের নিকটবর্তী, তা এখনকার আলোচনার বিষয়। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান এ দুই প্রার্থীর টুকিটাকি নানা বিষয়ও আলোচনায় এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্ট নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিছুদিন ধরে এ আলোচনায় যুক্ত হয় স্বাস্থ্য। বিশেষ করে ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে নয়-এগারোয় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন অজ্ঞান হয়ে যান। হিলারির নির্বাচনী প্রচার শিবির থেকে জানানো হয়, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। সে সময় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প হিলারির দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করেও কটাক্ষ করতে ভোলেননি। ট্রাম্প বলেছেন, হিলারি এখন বিছানায় শুয়ে আছেন। আরও বলেন, বন্ধুরা, আমি জানি না কী হবে। তবে আপনারা কি মনে করেন, হিলারি আপনাদের সামনে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন?
অবশ্য ৬৮ বছর বয়সী হিলারির স্বাস্থ্য উন্নতির কথা বলে তিনি যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম, সে কথা হিলারির চিকিৎসকের তরফে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম। তবে হিলারির স্বাস্থ্য যতটা না আলোচনায় এসেছে তার চেয়ে বেশি এসেছে ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের বিষয়টি Continue reading
নৌপথের গতিপথ
সড়কপথে বাসে কিংবা ট্রেনে চলাচলে নানা ঝক্কি-ঝামেলা। বাসে বা ব্যক্তিগত মোটরগাড়িতে যানজট বড় সমস্যা। আর ‘৯টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে’ প্রশ্নটি এখনও প্রাসঙ্গিক। বিমানে চলাচলের সাধ থাকলেও, সাধ্য নেই অধিকাংশের। দেশের ভেতরে বিমানে তো নেহাত অল্প কয়েকটি গন্তব্যে যাওয়া যায়। এ পথে যানজট নেই বটে, তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বা যশোরের ৪৫ ও ৩০ মিনিটের উড়ালের জন্য কপাল মন্দ হলে বিমানবন্দরে কাটাতে হতে পারে কয়েক ঘণ্টাও। এসবের একবারেই বালাই নেই নৌপথে। নদীপথে দূরযাত্রায় বিশেষত লঞ্চে যাদের যাতায়াত তারা জানেন এ ভ্রমণ কতটা আরামদায়ক। যানজটে পড়তে হয় না, কয়েক ঘণ্টা একই চেয়ারে বিরক্তি নিয়ে বসে থাকতে হয় না, খোলা বাতাস গায়ে মেখে পায়চারি করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতেও যাওয়া যায়। সাধারণত ৯টার লঞ্চ ঠিক ৯টায়ই ছাড়ে এবং সঠিক সময়ে গন্তব্যে না পেঁৗছার আশঙ্কাও কম। ভ্রমণ ব্যয়ও একেবারে সাধারণের নাগালের মধ্যে। অবশ্য যাদের টাকা আছে, তারা চাইলে বেশি ব্যয়ে বিলাসবহুল কেবিনে একেবারে ঘরের আতিথেয়তায় যেতে পারেন। স্টেশনে স্টেশনে যাত্রী ওঠানামার ব্যাপার তেমন নেই। জায়গা থাকলে শুয়েও যাওয়া যায়; ভিড় থাকলেও যে কোনো জায়গায় বসে যাওয়া যায়। মাঝে মধ্যে বেদনাদায়ক লঞ্চ দুর্ঘটনা ছাড়া এ পথের যন্ত্রণা বেশি নেই। Continue reading