কাউকে বোকা বোঝানোর জন্য অনেকে সাধারণত ছাগলের সঙ্গে তুলনা করেন। কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করারও মোক্ষম শব্দ বোধ হয় ছাগল। ছাগলকে আমরা বোকা ভাবলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, ছাগল আসলে বুদ্ধিমান। আমরা যতটা বুদ্ধিমান ভাবি, ছাগল তার চেয়েও বেশি বুদ্ধিমান। গবেষণায় এও দেখা গেছে, ছাগল মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। ফলে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ছাগল মানুষের সেরা বন্ধু। সম্প্রতি প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান গবেষণার খবরে বলেছে, নো কিডিং, ম্যান’স নিউ বেস্ট ফ্রেন্ড ইজ এ গোট; ইয়ার্কি নয়, মানুষের নতুন সেরা বন্ধু একটি ছাগল। আর নিউজউইক লিখেছে, গোটস :ম্যান’স নিউ বেস্ট ফ্রেন্ড? সায়েন্স সেইস ইট’স পসিবল। বিজ্ঞান যে বলছে এটা সম্ভব, তার প্রমাণও দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটির জার্নাল বায়োলজি লেটার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রশিক্ষণরত কয়েকটি ছাগলের সামনে একটি করে খাবারের বাক্স রাখা হয়, একটি বাদে বাকি সবক’টি ছাগলই কয়েকবারের চেষ্টায় বাক্সগুলো খুলতে সক্ষম হয়। তবে তার আগে দুয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা কাছে থাকা মানুষের দিকে তাকায়। তাদের চাহনিতে ছিল বন্ধুত্বের আহ্বান। মানুষের দিকে তাকানোর মানে হচ্ছে তারা খুলতে ব্যর্থ। তাই সহযোগিতা প্রয়োজন। বিজ্ঞানীরা এও বলছেন, ঠিক একইভাবে তাকায় কুকুরও। ছাগল যখন মানুষের দিকে তাকায়, তার স্থিরদৃষ্টিতেই উভয়ের মাঝে একটি যোগাযোগ তৈরি হয়। ছাগল প্রভুভক্ত। তার চাহনি, লেজ নাড়াচাড়া করা কিংবা ডাকলে কাছে আসার মাধ্যমে ছাগল তার প্রমাণ দেয়। Continue reading →