
আজকের আলোচনায় অবশ্য তাজমহলের রঙের প্রসঙ্গ ভিন্ন। সেটা টাইমস অব ইন্ডিয়ারই গত বছরের প্রথম দিকের এক প্রতিবেদনের সঙ্গে মেলানো যায়। যেটি বলছে, ‘পলিউশন টার্নি তাজমহল ইয়েলো :স্টাডি’ অর্থাৎ গবেষণা বলছে, দূষণের কারণে তাজমহল হলুদ হয়ে যাচ্ছে। Continue reading
সিভি বা কারিকুলাম ভিটায় জীবনের বৃত্তান্ত লিখতে সবাই সচেতন। সিভির সঙ্গে যে অনেক কিছু জড়িত। আপনার স্বপ্নের চাকরিটা হয়তো সিভির কারণেই হাত ফসকে বের হয়ে যেতে পারে। সুন্দর সিভি না হলে কেউই হয়তো আপনাকে ডাকবে না। ভালো একটা সিভি তৈরি করতে তাই সবাই গলদঘর্ম হন। সেখানে নেতিবাচক বা ব্যর্থতার কথা লেখা তো দূরের কথা, ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা ইতিবাচক দিক লিখতে আমরা ব্যস্ত। সবাই ধরে নেন, সিভি মানেই ব্যক্তির ইতিবাচক ধারণার উপস্থাপন। যেখানে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সব সফলতা, অর্জন, দক্ষতা লেখা হবে। সিভির এই প্রচলিত ধারণাকে বলা চলে একেবারে উল্টিয়েই দিয়েছেন জোহানস হাউসোফার। ৩০ এপ্রিল ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে ‘সিভি অব ফেইলিয়রস‘ নামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তা উঠে এসেছে। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক জোহানস হাউসোফার। ২৩ এপ্রিল তিনি টুইট করেছেন, নিউ ‘পাবলিকেশন’ :মাই সিভি অব ফেইলিয়রস! অর্থাৎ নতুন ‘প্রকাশনা’ :আমার ব্যর্থতার সিভি। টুইটের সঙ্গে তিনি ব্যর্থতার সে সিভির লিঙ্কও দিয়ে দেন। ২ পৃষ্ঠার সে সিভিতে তিনি তার ক্যারিয়ারের নানা ব্যর্থতার বিষয় তুলে ধরেন। পিএইচডি, গ্র্যাজুয়েট কোর্স ও বিএ ডিগ্রির জন্য অ্যাপ্লাই করেও কয়েক জায়গায় তিনি সুযোগ পাননি। কয়েক জায়গায় ফেলোশিপ, শিক্ষকতার চাকরি, স্কলারশিপ, রিসার্চ ফান্ড পাননি। এসব বিষয় তিনি ব্যর্থতার সিভিতে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরেছেন। যেমন তিনি লিখেছেন, ডিগ্রি প্রোগ্রামস আই ডিড নট গেট ইনটু, একাডেমিক পজিশনস অ্যান্ড ফেলোশিপস আই ডিড নট গেট, অ্যাওয়ার্ডস অ্যান্ড স্কলারশিপস আই ডিড নট গেট ইত্যাদি। Continue reading
মাতৃদুগ্ধ যে শিশুর সর্বোত্তম খাদ্য তাতে কারও দ্বিমত নেই। জন্মের পর প্রয়োজনীয় সব পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এ খাবার প্রতিটি শিশুর জন্য নিশ্চিত করার তাগিদ স্বাভাবিক। হয়তো সেদিক থেকেই মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক গঠনের উদ্যোগ। যেসব শিশু নানা কারণে মায়ের দুগ্ধ থেকে বঞ্চিত তাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির যথাযথ জোগান নিশ্চিত করার জন্য এ ব্যাংক। ভারতের দিলি্লতে এটি চালু হওয়ার খবর দিয়েছে বুধবারের আনন্দবাজার পত্রিকা। ‘মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক চালু দিলি্লতে’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি বলছে, মঙ্গলবার দিলি্লতে ‘আমারা’ নামের মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক চালু করেছে দুটি বেসরকারি সংস্থা। প্রতিবেদনটি আরও জানাচ্ছে, ভারতে এ রকম ১৪টি ব্যাংক চালু রয়েছে। তাদের যুক্তি হলো, ‘অনেক সময়ই শারীরিক পরিস্থিতির জন্য দুগ্ধ উৎপাদনে মায়েরা অক্ষম হয়ে থাকেন। এ ছাড়াও রাস্তাঘাটে এমন অনেক শিশুর খোঁজ মেলে, যাদের মায়ের পরিচয় জানা যায় না। অপুষ্টিতে ভোগা এসব শিশুর জন্যই মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকের সূচনা’। উন্নত বিশ্বে মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক অবশ্য সাধারণ ব্যাপার। মাদার্স মিল্ক ব্যাংক, দ্য মিল্ক ব্যাংক, মাদার্স মিল্ক ইত্যাদি নানা নামে বিভিন্ন দেশে এটি চালু আছে। একে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক বা ব্রেস্ট মিল্ক ব্যাংকও বলা হয়।
মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকে সাধারণ মায়েদেরই দান করা দুগ্ধ পাস্তুরিত করে রাখা হয়। যারা দান করে তাদের সুস্থতা ও পারিপাশর্ি্বক বিষয় দেখা হয়। বিশেষ কিছু রোগ আছে কি-না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েই ডোনেশন সম্পন্ন করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকগুলো স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হয়। উইকিপিডিয়া বলছে, আন্তর্জাতিকভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মিল্ক ব্যাংকিং ইনিশিয়েটিভ। ৩৩ দেশে রয়েছে মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক। ব্রাজিলে রয়েছে ২১০টি, ইউরোপে ২০৩টি, লাতিন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায়ও মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক চালু রয়েছে। Continue reading