বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিবছর বিচিত্র অদম্য শিক্ষার্থীর কথা সংবাদমাধ্যমে আসে। যারা শারীরিক নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কারও হাত নেই, পরীক্ষা দিচ্ছেন মুখ দিয়ে; কারও হাত অচল, লিখছেন পা দিয়ে। মনের জোরে তারা হাতের বাধা দূর করেছেন। যদিও মুখ দিয়ে কিংবা পা দিয়ে লেখা কঠিন কাজ। তার ওপর দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা দেওয়া আরও দুঃসাধ্য। এর জন্য নিঃসন্দেহে অনেক দিনের অনুশীলনের প্রয়োজন। অথচ শিক্ষার জন্য এ কঠিন কাজ তারা অনায়াস সাধ্য করেছেন। এমনকি স্বাভাবিক হাত দিয়ে যারা পরীক্ষা দিচ্ছেন তাদের সঙ্গে বসেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাদের এ সংগ্রাম সবার জন্য অনুপ্রেরণার।
সারাদেশে অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলছে। একাধিক সংবাদমাধ্যম শেরপুরের সুরাইয়ার কথা বলেছে। যার দুই হাত অচল; কলম ধরার ক্ষমতা নেই। ঘাড় খানিকটা বাঁকা; সোজা করার সামর্থ্য নেই। সুরাইয়া বিশেষ টেবিলে বসে পা দিয়েই জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এর আগে এভাবে পরীক্ষা দিয়েই সে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। একইভাবে মানিকগঞ্জের রুবেল ও পটুয়াখালীর বেলালের খবরও সংবাদমাধ্যমে এসেছে। তারা উভয়ে যথাক্রমে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা দিচ্ছে। তাদের কারও হাত নেই। পা দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। Continue reading
পায়ে কলম, মনে জোর
Leave a reply