উৎসব অল্প সময়ের। আয়োজন অনেক দিনের। আর অপেক্ষার দৈর্ঘ্য আরও বেশি। এক উৎসব গেলে তার রেশ থাকে কিছুদিন। এরপর সবাই অপেক্ষা করে আরেকটার জন্য। কাছাকাছি এলে চলে তার প্রস্তুতি। উৎসব আয়োজনে সবাই পছন্দের পোশাক ক্রয় করে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত থাকেন গ্রাহকের চাহিদামতো জিনিসের জোগান দিতে। মানুষ নাড়ির টানে ঘরে ফেরে। এ সময় সবার মাঝে যেমন একটা উৎসব উৎসব ভাব থাকে, তেমনি থাকে প্রতিযোগিতাও। কে কত বেশি কিনবে; কে কত আগে বাড়ি যাবে; কার পোশাক কত দামি হবে ইত্যাদি নিয়ে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে চলে প্রতিযোগিতা। অনেকে আবার নিজের পোশাকটি আগে থেকে অন্যদের দেখাতে চায় না। ঈদের দিন হয়তো চমকে দেবে এ আশায়।
আমাদের অন্যতম উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ছুটি পান। এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশি ছুটি থাকলেও সরকারিভাবে তিন দিনের ছুটি থাকে। নগরের অনেক মানুষ ছুটি কাটা Continue reading
Monthly Archives: জুলাই ২০১৫
ঢাবির ছারপোকা
ছারপোকা খবরের অনুষঙ্গ হিসেবে সংবাদমাধ্যমে নানা সময়ে হাজির হয়। বিভিন্ন সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে ছারপোকা প্রসঙ্গ এসেছে। তবে এবারের খবরটি ব্যতিক্রমই বলতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে ছারপোকার বিরুদ্ধে অভিযানের অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। এখন খবর বলছে, হল কর্তৃপক্ষ এ অভিযানে নেমেছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও শিক্ষার্থী নিবাসে ছারপোকার উৎপাত কতটা রয়েছে। সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে ঘুমুতে গিয়ে রক্তচোষা ছারপোকার তীক্ষষ্ট কামড় কতটা বেদনাদায়ক তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। সে ছারপোকার বিরুদ্ধে স্বয়ং হল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য নিশ্চয়ই স্বস্তির খবর! Continue reading
‘ওভার স্মার্ট’ ভর্তি ব্যবস্থার সংকট
স্মার্ট ভর্তি পদ্ধতির কথা শুনে সবার ভালো লাগারই কথা। বাস্তবে এর নামে এবারের এইচএসসি ও সমমানের ভর্তি নিয়ে যা হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভুলেরও একটা সীমা থাকে। কারিগরি জটিলতা কাটিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের চার দিন পর (২৮ জুন) প্রকাশিত প্রথম মেধা তালিকায় দেখা গেল_ মেয়েদের কলেজে ছেলেদের নাম, মানবিকের শিক্ষার্থী বিজ্ঞানে, কম জিপিএ পেয়ে ভালো কলেজে ভর্তি আর জিপিএ ৫ পেয়েও তালিকায় নেই। এ রকম ভুলের ছড়াছড়ি। এমনকি ব্যবসার শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান কলেজে। পছন্দের তালিকায় ছিল না, তার পরও অন্য জেলার এমন কলেজের নাম এসেছে, যেটা শিক্ষার্থী কখনোই শোনেনি। ভুল আর তালগোল পাকানো প্রথম তালিকায় কলেজই পায়নি ৫০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে, ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে যেখানে ১ জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণীর নতুন ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল, সেখানে তখনও বঞ্চিত লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। ভর্তি নিয়ে গোটা সপ্তাহ ধরে চলা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে ৫ জুলাই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিব। মন্ত্রী এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। একে ‘উন্নয়নের বেদনা’ বলে আখ্যায়িত করেন। যদিও শিক্ষা সচিব বলেছেন, ‘টি২০-তে ছক্কা মারার চেষ্টা করেছি।’ কিন্তু সে ছয় বাউন্ডারি পেরোয়নি। Continue reading
ছাড় দেখে ছাড় নয়
সময়টা রমজান এবং ঈদ অতি সন্নিকটে_ এটাই তো অফারের মোক্ষম সময়। অফার, ছাড়, ডিসকাউন্ট কিংবা বিশেষ সুবিধা যে যা-ই বলুক, তা দিতে কেউই পিছিয়ে নেই। অগ্রসরের তালিকা করলে অবশ্য মোবাইল ফোনের কথা আসবে। যদিও মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলোতে সারাবছর নানা অফার লেগেই থাকে। সিমে অফার, সেটে অফার, রিচার্জে অফার, ইন্টারনেট প্যাকেজে অফার। মৌসুম অনুযায়ী অফারের ধরনেও পরিবর্তন হয়।
ঈদের সময় মানুষ বিশেষত পোশাক-আশাক কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এ সময় পোশাকে যত না ছাড় থাকে তার চেয়ে বেশি ছাড় থাকে অন্য জিনিসপত্রে। যেমন ফার্নিচার, ডিজিটাল পণ্যসামগ্রী, ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট ইত্যাদিতে। এগুলোতে ছাড় দেওয়ার একটা কারণ হতে পারে, এ সময় এগুলোর প্রতি মানুষের দৃষ্টি তেমন থাকে না। অথচ পণ্যটির বিক্রি কমতে দেওয়া যায় না। তখন কোম্পানি অফার দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। আবার এখন যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি সেগুলোতেও অফার থাকে, যাতে মানুষ বেশি ক্রয় করে। Continue reading
‘অখণ্ড’ গল্পের দ্বিতীয় খণ্ড
মানুষের সম্পর্ক অনেকটা নদীর মত। নদীর যেমন ‘এপার ভাঙে ওপার গড়ে’, সম্পর্কও তথৈবচ। গতিশীল মানুষ নানা প্রয়োজনে স্থান বদলায়, সে জায়গা ঘিরে নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়, নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়। পুরনো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কমে, কিছু সম্পর্কে জং ধরে; কিছু হারিয়ে যায়। কিছু সম্পর্ক অবশ্য অটুট থাকে। এর মধ্যে কিছু গাঢ় হয়; গাঢ়তর হয়। এরকম সম্পর্কও নানা কারণে ভেঙে যেতে পারে। তারপরও কথা থাকে; সম্পর্ক থাকে। সেসবের ব্যাখ্যা হয় না। সংজ্ঞায় ফেলা যায় না।
ওয়াসিম ভাইকে নিয়ে দ্বিতীয় খণ্ড লিখছি। প্রথম খণ্ড লিখেছিলাম আরও তিন বছর আগে। তার সঙ্গে পরিচয়ের তিন বছরে। তখন হয়তো অনেক কিছুই লেখা গেছে। কিন্তু এখন কী লিখবো বুঝতেছি না। গল্পের যে শেষ নেই। ২০১২ হতে এ পর্যন্ত চারটি ডায়েরি যে খুঁজব সে অবকাশ আপাতত নেই। তবে শুক্রবারের Continue reading
স্মৃতিচিহ্নে ফেসবুক
জীবনের সব অনিশ্চয়তার মধ্যে সবচেয়ে নিশ্চিত বিষয় মৃত্যু। মৃত্যু ছাড়াও মানুষ নানাভাবে হারিয়ে যেতে পারে। কেউ হারিয়ে গেলেও কিছু স্মৃতিচিহ্ন রেখে যায়। যেটা তার প্রমাণ বহন করে যে তিনি একদিন ছিলেন। সন্তান-সন্ততি রেখে কেউ মারা গেলে তারাই বড় স্মৃতিচিহ্ন। আরও নানা বিষয়ও তার স্মৃতিচিহ্ন হতে পারে। বড় কেউ মারা গেলে তার বাসভবন, থাকার জায়গা অন্যদের কাছে স্মারক হয়ে ওঠে। যেমন কুমিল্লায় নজরুলের স্মৃতিচিহ্ন কিংবা কুষ্টিয়ায় রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিচিহ্ন ইত্যাদি। সাধারণ কিছু কারও কাছে স্মৃতির বিষয় হয়ে থাকতে পারে। কারও রেখে যাওয়া ডায়েরি, লেখা, ছবি, বক্তৃতা কিংবা ব্যবহার্য জিনিসপত্র ইত্যাদিও ব্যক্তির স্মৃতি বহন করে। এর সঙ্গে নতুন যোগ হয়েছে ফেসবুক।
সাম্প্রতিক সময়ে কেউ মারা গেলে সংবাদমাধ্যমে খবরের সঙ্গে তার শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসও জানানো হয়। Continue reading