
Facilitating education of visually impaired students

সবাই জানেন, ছিটমহল সংকট দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঝুলে রয়েছে। ভারতের মন্ত্রিপরিষদের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি সম্প্রতি দুই দেশের স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থন এবং ছিটমহলের মতো গুরুতর মানবিক সমস্যা সমাধানে সংবিধান সংশোধনে উদ্যোগী হওয়ার পর বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে।
আমরা এও জানি, বাংলাদেশে ভারতের ছিটমহল রয়েছে ১১১টি আর বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল রয়েছে সীমান্তের এপাশে। মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন ভূখ-গুলোর অধিবাসীরাও সম্পুর্ণ বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করে আসছে। গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তির প্রটোকলে ছিটমহলগুলো বিনিময়ের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে চুক্তি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতিই দেখা যাচ্ছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপে রাখতে ইস্যুটি ব্যবহার করছে; অন্যদিকে বিজেপি বিষয়টি নিয়ে কৌতুককর খেলায় মেতেছে। আর সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত যারা, সেই ছিটমহলবাসীদের পুরো প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়েছে। Continue reading
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইন্টারনেটের সুবাদে শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা (শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাগবেষক) আশা করে আসছিলো যে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রচলিত ধারা এবং প্রশাসনিক দিক থেকে একটা পরিবর্তন ঘটবে। ডিজিটাল দুনিয়া এ স্বপ্ন দেখাচ্ছে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো হবে ভার্চুয়াল এবং এর মাধ্যমে জ্ঞানের প্রসার ঘটবে। তারা এমন একটি ব্যবসায়িক মডেলের কথা চিন্তা করছেন যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন কোর্সগুলো তার সুবিধাভোগিদের কাছে পৌঁছানো যায়, যেমনটা আমাজনের পণ্যের বেলায় ঘটে থাকে। ই-বের মত টিউশন ফি নিলামের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। আর শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন গ্রেডের ভিত্তিতে হবেনা, তার দক্ষতার ভিত্তিতে হবে, যেমন ভিডিও গেমের লেভেল দেখা হয়। বিষয়টা সহজেই অনুমান করা যায়, যেমন শুক্রবারে শিক্ষার্থীরা জিনিয়াস বারে গিয়ে থাকে।
এটা খুবই সত্য যে সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন শিক্ষার বেশ প্রসার ঘটেছে, কম্যুনিটি কলেজ থেকে শুরু করে এমআইটি (ম্যাসেচুসেটস ইনস্টিটিউ অব টেকনোলজি) প্রদত্ত ওপেন কোর্স হিসেবে ভিডিও লেকচার পর্যন্ত (নিউ ইয়র্ক টাইমস কর্তৃপক্ষও তার নলেজ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এর সঙ্গে জড়িত)। তবে ইন্টারনেট প্রচলিত ধারাকে সেটা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই হোক মোটের ওপর খুব কমই ক্ষতিগ্রস্ত করছে, আজকে প্রতিযোগিতার বিশ্বে আমেরিকার গ্রেট স্কুলগুলো তার সুবিধাজনক অবস্থানের অনন্য উদাহরণ। আমাদের র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে এমন ভোক্তার অভাব নেই, যারা তাদের অভিভাবকদের কাঙ্খিত শিক্ষার জন্য খুব ভালো টাকা খরচ করতে রাজি। Continue reading
ওয়াল স্ট্রীট দখলের আন্দোলন আমেরিকার নির্দেশনাকে পরিবর্তন করে দিবে কিনা সে সম্ভাবনা যথেষ্ট রয়েছে। ওয়াল স্ট্রীট থেকে সে প্রতিবাদ চরম আকার ধারণ করে সাধারণভাবে এখনও সকল ধনি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং প-িত শ্রেণীকে একত্রিত করেছে, যারা সত্যিকারার্থেই সবচেয়ে সম্পদশালি অংশের হয়ে কাজ করছে।
আর এই প্রতিবাদ আপনার সামনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হাজির করছেÑ অতি মাত্রায় চরমপন্থীরা আমেরিকার মূল্যবোধের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে, যাদেরকে এফডিআর (ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট) বলছেন, “ইকোনমিক লয়্যালিস্ট” , এরা জুকুটি পার্কে (নিউইয়র্ক এর লিবার্টি প্লাজা পার্ক) অবস্থান কারি নয়।
প্রথম দেখার বিষয় হলো, আন্দোলন যখন দানা বাঁধছিলো রিপাবলিকানরা তখন কিভাবে তার সহজভাবে প্রশমনের একটা চিত্র অংকন করেছিলেন, যাদের অনেকেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসংঘর্ষে হাজার হাজার পুলিশকে সম্পৃক্ত করা হয়Ñ তবে কেউ এটাকে দাঙ্গা বলতে পারবেনা। আর এটাকে ২০০৯ এর গ্রীষ্মকালে টি পার্টির ঘটনায় পুলিশের আচরণের সঙ্গে সহজেই মেলানো সম্ভব। Continue reading
খেলা নিয়ে আমার আগ্রহ কমই বলা চলে। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল দেখেছি। এ নিয়ে হলের শিক্ষার্থীদের তো বটেই অন্যান্যদেরও প্রবল আগ্রহ-উত্তেজনা দেখেছিলাম। সেসময় লিখেছি- ‘বিশ্বকাপ জ্বরে বিশ্ব যতটা কাঁপছে আমি ততটা স্থির। বিশ্বকাপের জ্বর আর জোয়ার যাই বলি আমাকে কিন্তু কোনোটাই স্পর্শ করেনি।’ অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে খেলার কিছুই আমি জানি না। আমি হয়তো বসে বসে প্রতিটা বল দেখি না। কিংবা ইন্টারনেটে ইএসপিএন ক্রিকইনফো’র লাইভ স্কোর খুলে বসে থাকি না। কিন্তু ফলাফলটা ঠিকই জানি। কারও বড় অর্জন থাকলে সেটাও চোখ এড়ায় না। হাল আমলে এসব না জানা মানে ব্যাকডেটেড। আর বিশ্বের কাছে আমাদের পরিচয় তুলে ধরার এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম নিসন্দেহে।
তবে আমার মত কম আগ্রহীদের জন্য সুবিধার কথা হলো সংবাদমাধ্যম খেলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে অন্তত যারা নিয়মিত পত্রিকা পড়েন কিংবা টিভি-চ্যানেলে খবর দেখেন খেলার কোনো বিষয়ই তাদের জানার বাকী থাকার কথা নয়। অবশ্য আমার আজকের লেখার বিষয় খেলা নয়, অন্য কিছু। তারপরও লেখার শিরোনামটা খেলার পরিভাষা ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ কেন সে বিষয়ে পরে আসছি। Continue reading
খালি কাগজের তেমন মূল্য নেই। বাজার থেকে সেটা কেউ দিস্তা দরে, বাউন্ডিং খাতা আকারে কিংবা সংখ্যা গুণে ক্রয় করেন। তার ওপর যখনই কিছু লেখা তখনই দামি হয়ে ওঠে। কাগজের তৈরি ব্যাংক চেকের কথা সবাই জানেন। সেটা হাজার কোটি টাকাও হতে পারে। তবে কখনও কখনও এর মূল্য নির্দিষ্ট অঙ্কে প্রকাশ করাও কঠিন। দশ বছর পড়াশোনার পর এসএসসি পরীা দিয়ে অর্জন করা সার্টিফিকেটও কার্যত একটা কাগজ। এর দাম হিসাব করা সম্ভব? এ রকম এইচএসসি, অনার্স, মাস্টার্স কিংবা পিএইচডি অর্জনের পরও আপাতদৃষ্টিতে একটা কাগজই মানুষ অর্জন করে। যে কাগজ তার লেখার কারণে, কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতির কারণে সার্টিফিকেট হয়ে যায়। Continue reading