আমার বুঝ হওয়ার পর থেকে মনে হয়েছে অন্তত একটা দিক থেকে আমি ভাগ্যবান। যখনই শুনতাম অমুকের নেই তমুকের নেই অথচ আমার আছে তখনই তা মনে হতো। যদিও একজনের দিক থেকে আমরা ভাই-বোনরা বঞ্চিতই ছিলাম বলা চলে। তারপরও ভালো লাগতো; চারজনের মধ্যে একজন না থাকলে অমন কী।
দাদা-দাদী, নানা-নানীদের কথা বলছি। জন্মের পর থেকেই কাছে পেয়েছি দাদা-দাদীকে। তাদের আদর পেয়েছি। আশকারা পেয়েছি। নানাও ছিলেন আমাদের। কিন্তু নানীকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। মায়ের বিয়ের একবছর পর নাকি মারা গেছেন তিনি। নানা-নানীর বাড়িকে অনেকে নানীর বাড়ি বলেন। আমরা বলি নানার বাড়ি। ধারণা করছি আমাদের নানী নেই বলেই তা বলছি। তবে নানীর অভাব আমরা সেভাবে অনুভব করতে পারিনি। করতাম যদি কিছুদিন হলেও তার আদর পেতাম। এখন যেমন দাদা ও নানা মারা যাওয়ার পর তাদের মিস করছি।
তবে দাদা-দাদীর ভালোবাসা যেভাবে পেয়েছি বলার মত নয়। দাদার কথা আগে বলতে ইচ্ছে করছে। মানুষের একটা প্রবণতা আছে। বেঁচে থাকলে একে অপরের গুণ সেভাবে বলতে চায় না। মৃত্যুর পর সবাই সেটা অকপটে বলে- মানুষটি অসাধারণ ছিলেন। কখনো মিথ্যা কথা বলতেন না। খুব ভালো ছিলেন। সমাজে কেউ খারাপ হিসেবে পরিচিত থাকলেও তখন তার কোনো ভালো গুণ বের করে আনেন- আসলে তিনি যেমনই ছিলেন মানুষের উপকার করতেন। Continue reading
নীরবতা
Leave a reply