ভালো বাসাকে অনেকে ভালোবাসা বলে ভুল করতে পারেন। তবে ঢাকা শহরে কোনো ব্যাচেলর যদি বাসা খুঁজতে যান, ভালো বাসা পাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন, তার হয়তো বুঝতে বাকি থাকবে না_ এ দুয়ের মাঝে বিশেষ কোনো তফাত নেই। তাই অনেকে বলেন, ‘ব্যাচেলরদের ভালো বাসা পাওয়া ভালোবাসা পাওয়ার মতোই কঠিন।’ তাদের বাসা পাওয়ার বিড়ম্বনা অবশ্য নতুন কোনো বিষয় নয়। এ নিয়ে নাটক হয়েছে, আরও কত কী হয়েছে। এরপরও বাড়িওয়ালারা ব্যাচেলরদের ভাড়া দিতে চান না। বিশেষ করে ভালো বাসা বলতে যা বোঝায়, সেগুলো যেন ব্যাচেলরদের জন্য নয়।
ঢাকা শহরে যারা পড়াশোনা করতে আসেন কিংবা পড়াশোনা শেষ করে চাকরিজীবনেও ব্যাচেলর হিসেবে ঢাকায় থাকতে চান, তারা যে কত কষ্টে থাকেন, বলাই বাহুল্য। Continue reading
Monthly Archives: ফেব্রুয়ারি ২০১৩
জেগে থাকার বার্তা
মানুষকে জাগানোর চেষ্টা করেছেন সবাই; কেউ গান দিয়ে, কেউ কবিতা দিয়ে, কেউ সিনেমা বানিয়ে, কেউবা লিখে, বক্তৃতা দিয়ে। যে যেভাবে পারছেন তার জায়গা থেকেই জাগানোর চেষ্টা করেছেন। নজরুল গেয়েছেন, ‘জাগো অনশন-বন্দী, ওঠ রে যত…’ কিংবা রবীন্দ্রনাথের ‘নব আনন্দে জাগো আজি নবরবিকিরণে’। জাগো বাঙালি জাগো তো শোনা যায় অহরহই। অনাদিকাল থেকে মহাপুরুষরাও জাগানোর কাজই করে গেছেন। যদিও মানুষ খুব সহজে জাগে না। তবে জাগলে আবার কোনো শক্তিই তাকে দমাতে পারে না। Continue reading
নিরন্তর শাহবাগ
ঢাকার সূর্যোদয় এখন সাড়ে ৬টায়, তারও দুই ঘণ্টা আগে আগে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। কিছু শব্দ আবছাভাবে কানে বাজছিল, কানটা সজাগ করে যা শুনলাম যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না। এ যে খুব পরিচিত কণ্ঠ, বাক্যগুলোও বেশ পরিচিত। অফিস থেকে ফেরার পথে রাতে যেগুলো শুনছিলাম সেগুলোই এখন শয্যায় থেকে শুনছি। অবাক না হয়ে পারলাম না। তরুণ প্রজন্মের একজন হিসেবে অনেকটা অসহায়ই বোধ হলো। মুগ্ধ হলাম তাদের ডেডিকেশন দেখে। পাঁচ-ছয় দিন আগের সেই মুগ্ধতা এখনও আচ্ছন্ন করে আছে। Continue reading
মিলনমেলা বসবে যখন
গত বছরের কথা মনে আছে? বাংলা একাডেমীর বইমেলায় প্রবেশ করলেই একটা গান শোনা যেত, ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা, লেখক-পাঠকের মিলনমেলা’। সেই মিলনমেলা ১১ মাস পর আবার দরজায় কড়া নাড়ছে। অনেকের কাছে আসি আসি করছে, অনেকের কাছে আবার এসেও গেছে; হয়তো মেলা জমার কাজটা বাকি। লেখক-প্রকাশকরা বোধ হয় জানুয়ারিকে মেলার অন্তর্ভুক্তই ধরেন। মূল মেলায় বই প্রকাশের যে তাড়া আর ব্যস্ততার মাঝে তারা থাকেন, তাতে মেলা আসা পর্যন্ত অন্য কিছুর দিকে তাকানোর ফুরসত কোথায়, মেলার প্রস্তুতি তো মেলাই বটে। কিন্তু মেলাটা যাদের জন্য জমে সেই পাঠককুলের কাছে আসেনি_ তাও তো নয়। তাদের মানসিক প্রস্তুতিটা ফেলনা নয়। Continue reading
ছবির ভাষা
কেউ কথা বললে তার কথা আরেকজন পুরোপুরি নাও বুঝতে পারে, কারও লেখা অন্যের কাছে বোধগম্য নাও হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ‘কমিউনিকেশন গ্যাপ’ থেকে যায়। ছবির ক্ষেত্রেও কি তাই? একটি নিশ্চল, নিস্তব্ধ ছবির দিকে তাকিয়ে গল্প-উপন্যাস-টেলিভিশনে কতজনকে কাঁদতে দেখেছি। দেয়ালে সাঁটানো কিংবা টেবিলে রাখা কোনো ছবিতে চুমু খেয়েছেন কতজন। নিজেও তো কত ছবির দিকে একটানা তাকিয়ে থেকেছি; যেন জীবন্ত, যেন কথা বলতে চায়, যেন বলে ফেলবে এভাবে তাকিয়ে আছো কেন, যেন আমাকেও পরখ করছে। ছবির ভাষাই বোধহয় এ রকম। সবাই বোঝেন। যে শিশুটির বাবা কিংবা মা মারা গেছে, তাদের ছবিটা দেখেও শিশুটি হয়তো কাঁদবে। আসলে ছবি তো কেবল কথাই বলে না, একটা আবেগ তৈরি করে, একটা বাস্তব বিষয়কে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার সমকালের ছবিটা তার চেয়ে ব্যতিক্রম কিছু? Continue reading